ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যমজ শিশুকে হত্যার দায় স্বীকার করলেন মা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৩৯:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
যমজ শিশুকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন মা কনিজ ফাতেমা কনা। হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। গতকাল শনিবার বিকেল পৌনে ৬টায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তেরখাদা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চার বছর আগে তেরখাদা উপজেলার চাকলাদাহ ইউনিয়নের কুশলা গ্রামের খোরশেদের মেয়ে কনিজ ফাতেমা কনা সঙ্গে মোল্লারহাট উপজেলার মাতারচর গ্রামের মোল্লা আবু বক্কারের ছেলে মাসুম বিল্লাহর বিয়ে হয়। বিয়ের তিন বছরের মাথায় কনা অন্তঃসত্ত্বা হন। এরপর তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যমজ কন্যাসন্তান হওয়ার পর থেকে গত দুই মাস ১১ দিন বাবার বাড়িতেই ছিলেন কনা কনিজ ফাতেমা কনার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে এসআই এনামুল হক বলেন, যমজ শিশু দুটো অনেক কান্নাকাটি করতো। কনা বিষয়টি তার স্বামীকে জানান এবং তাদের নিয়ে যেতে বলেন। তার স্বামী কাজের ব্যস্ততার কারণে আসতে পারেননি। তবে বলেছিলেন- আগামী মাসের ১ তারিখ আসবেন। এর মধ্যে ঘটনার দিন রাতে যমজ শিশু দুটি খুব কান্নাকাটি করে। রাতেই শিশু দুটিকে হত্যা করে কনা নিজেই পুকুরে ফেলে দেন। শিশু দুটির কান্নার যন্ত্রণায় কনিজ ফাতেমা কনা এ কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন। এর আগে তেরখাদায় যমজ শিশু হত্যার অভিযোগে বাবা মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে মা কানিজ ফাতেমা কনাকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় কনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যমজ শিশুকে হত্যার দায় স্বীকার করলেন মা

আপলোড টাইম : ০৪:৩৯:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন:
যমজ শিশুকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন মা কনিজ ফাতেমা কনা। হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। গতকাল শনিবার বিকেল পৌনে ৬টায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তেরখাদা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চার বছর আগে তেরখাদা উপজেলার চাকলাদাহ ইউনিয়নের কুশলা গ্রামের খোরশেদের মেয়ে কনিজ ফাতেমা কনা সঙ্গে মোল্লারহাট উপজেলার মাতারচর গ্রামের মোল্লা আবু বক্কারের ছেলে মাসুম বিল্লাহর বিয়ে হয়। বিয়ের তিন বছরের মাথায় কনা অন্তঃসত্ত্বা হন। এরপর তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যমজ কন্যাসন্তান হওয়ার পর থেকে গত দুই মাস ১১ দিন বাবার বাড়িতেই ছিলেন কনা কনিজ ফাতেমা কনার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে এসআই এনামুল হক বলেন, যমজ শিশু দুটো অনেক কান্নাকাটি করতো। কনা বিষয়টি তার স্বামীকে জানান এবং তাদের নিয়ে যেতে বলেন। তার স্বামী কাজের ব্যস্ততার কারণে আসতে পারেননি। তবে বলেছিলেন- আগামী মাসের ১ তারিখ আসবেন। এর মধ্যে ঘটনার দিন রাতে যমজ শিশু দুটি খুব কান্নাকাটি করে। রাতেই শিশু দুটিকে হত্যা করে কনা নিজেই পুকুরে ফেলে দেন। শিশু দুটির কান্নার যন্ত্রণায় কনিজ ফাতেমা কনা এ কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন। এর আগে তেরখাদায় যমজ শিশু হত্যার অভিযোগে বাবা মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে মা কানিজ ফাতেমা কনাকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় কনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।