ইপেপার । আজশনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত এ মাসেই

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
  • / ৬৮ বার পড়া হয়েছে


অভিভাবকদের দাবিগুলো গুরুত্ব পাচ্ছে
প্রাধান্য পাচ্ছে লিখিত পরীক্ষা
মূল্যায়নের জন্য তৈরি হয়েছে অ্যাপ

দেশে গত শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর আগামী বছর দশম শ্রেণি শেষে শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে এসএসসি পরীক্ষা হবে। এখনো নতুন কারিকুলামের আলোকে কীভাবে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন হবে, তা চূড়ান্ত না হওয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। দ্রুত এই মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রকাশের দাবিও জানিয়েছেন তারা। তবে গতকাল এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান ইত্তেফাককে বলেন, আশা করছি ঈদের আগেই এই মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত হবে। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের সচিব, বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যান, অধিদপ্তরগুলোর মহাপরিচালক এবং শিক্ষকদের নিয়ে একাধিক সভা করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে খসড়া উপস্থাপন করেছি। এখন মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এটি চূড়ান্ত হবে। আশা করছি চলতি মাসে ঈদের আগেই চূড়ান্ত হবে।’
বাড়ছে লিখিত পরীক্ষা:
নতুন কারিকুলামের মূল্যায়ন নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে এখনো পুরোটাই ধোঁয়শা। তারা গণমাধ্যম থেকেই শুধু আংশিকভাবে জানতে পারছেন। নতুন কারিকুলামে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়নে গুরুত্ব কম থাকায় শুরু থেকেই অভিভাবকেরা আপত্তি জানিয়ে আসছেন। মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের অনেক কর্মকর্তারাও লিখিত পরীক্ষা রাখার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্তকরণের কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি যে সুপারিশ করেছিল, হাতে-কলমে মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ আর লিখিত অংশের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ করতে বলেছিল। তবে অভিভাবক ও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের পরামর্শে লিখিত পরীক্ষায় গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে। ফলে পরীক্ষার সামষ্টিক মূল্যায়নের লিখিত অংশের ওয়েটেজ হবে ৬৫ শতাংশ। আর কার্যক্রমভিত্তিক অংশের ওয়েটেজ হবে ৩৫ শতাংশ।
অধ্যাপক মশিউউজ্জামান গতকাল বলেন, সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের মতামতের ভিত্তিতেই লিখিত পরীক্ষায় ওয়েটেজ বাড়ানো হয়েছে। অভিভাবকেরা মনে করছেন, লিখিত পরীক্ষা ছাড়া কোনো লেখাপড়াই হচ্ছে না।
থাকবে না নির্বাচনি পরীক্ষা; দুই বিষয়ে ফেল করলেও একাদশে ভর্তির সুযোগ এসএসসিতে এক বা দুই বিষয় ফেল করলেও একাদশে ভর্তির সুযোগের বিষয়টি দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একসময় চালু ছিল। নতুন মূল্যায়নে এবার ঐ বিষয়টি যুক্ত করা হচ্ছে। একজন শিক্ষার্থী এসএসসিতে দুই বিষয়ে ফেল করলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে ফেল করা বিষয়ে পাশ করে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
এনসিটিবির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, তারা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে পড়ালেখা করবে। কিন্তু শর্ত হলো, অকৃতকার্য হওয়া বিষয়ে পাশ না করা পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। ৭০ শতাংশ শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে কি না, সেটা দেখা হবে। বর্তমানে দশম শ্রেণিতে নির্বাচনি বা টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করলেই শুধু এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া যায়। প্রস্তাবিত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া অনুযায়ী, এসএসসিতে থাকবে না টেস্ট পরীক্ষা। এর পরিবর্তে একজন শিক্ষার্থীর ৭০ শতাংশ হাজিরা থাকতে হবে।
মূল্যায়নের খসড়া অনুযায়ী, প্রতিটি মিডটার্ম ও চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার। চার ঘণ্টা থাকবে ব্যাবহারিক। এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলবে। এর মধ্যে একটি অংশের মূল্যায়নে অনুসন্ধান, প্রদর্শন, মডেল তৈরি, উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয় থাকবে। আরেকটি অংশে থাকবে লিখিত পরীক্ষা। সেখানে লিখিত উত্তরপত্র ব্যবহার করা হবে। ২০১৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী, ক্লাসে ৭০ শতাংশ উপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীরা পাবলিক পরীক্ষ অংশ নিতে পারবে। নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতিতে বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বয় কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার বলেন, ‘মূল্যায়ন পদ্ধতি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আশা করছি দ্রুতই চূড়ান্ত হবে।’ তিনি জানান, মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত হওয়ার পর শিক্ষা বোর্ডগুলো এটি বাস্তবায়ন করবে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে মূল্যায়ন করার জন্য এটুআই একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। শিক্ষকেরা এই অ্যাপের সহায়তা নিয়ে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন করবেন।
প্রস্তাবিত মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুযায়ী, পুরো মূল্যায়ন হবে বোর্ডের তত্ত্বাবধানে। কোনো নম্বর থাকবে না, মূল্যায়ন হবে সাতটি পর্যায়ে। মূল্যায়নের পর্যায়গুলো হলো অনন্য, অর্জনমুখী, অগ্রগামী, সক্রিয়, অনুসন্ধানী, বিকাশমান ও প্রারম্ভিক। গত বছর থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর এ বছর নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতেও চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত এ মাসেই

আপলোড টাইম : ১১:৫৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪


অভিভাবকদের দাবিগুলো গুরুত্ব পাচ্ছে
প্রাধান্য পাচ্ছে লিখিত পরীক্ষা
মূল্যায়নের জন্য তৈরি হয়েছে অ্যাপ

দেশে গত শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর আগামী বছর দশম শ্রেণি শেষে শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে এসএসসি পরীক্ষা হবে। এখনো নতুন কারিকুলামের আলোকে কীভাবে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন হবে, তা চূড়ান্ত না হওয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। দ্রুত এই মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রকাশের দাবিও জানিয়েছেন তারা। তবে গতকাল এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান ইত্তেফাককে বলেন, আশা করছি ঈদের আগেই এই মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত হবে। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের সচিব, বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যান, অধিদপ্তরগুলোর মহাপরিচালক এবং শিক্ষকদের নিয়ে একাধিক সভা করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে খসড়া উপস্থাপন করেছি। এখন মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এটি চূড়ান্ত হবে। আশা করছি চলতি মাসে ঈদের আগেই চূড়ান্ত হবে।’
বাড়ছে লিখিত পরীক্ষা:
নতুন কারিকুলামের মূল্যায়ন নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে এখনো পুরোটাই ধোঁয়শা। তারা গণমাধ্যম থেকেই শুধু আংশিকভাবে জানতে পারছেন। নতুন কারিকুলামে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়নে গুরুত্ব কম থাকায় শুরু থেকেই অভিভাবকেরা আপত্তি জানিয়ে আসছেন। মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের অনেক কর্মকর্তারাও লিখিত পরীক্ষা রাখার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্তকরণের কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি যে সুপারিশ করেছিল, হাতে-কলমে মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ আর লিখিত অংশের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ করতে বলেছিল। তবে অভিভাবক ও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের পরামর্শে লিখিত পরীক্ষায় গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে। ফলে পরীক্ষার সামষ্টিক মূল্যায়নের লিখিত অংশের ওয়েটেজ হবে ৬৫ শতাংশ। আর কার্যক্রমভিত্তিক অংশের ওয়েটেজ হবে ৩৫ শতাংশ।
অধ্যাপক মশিউউজ্জামান গতকাল বলেন, সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের মতামতের ভিত্তিতেই লিখিত পরীক্ষায় ওয়েটেজ বাড়ানো হয়েছে। অভিভাবকেরা মনে করছেন, লিখিত পরীক্ষা ছাড়া কোনো লেখাপড়াই হচ্ছে না।
থাকবে না নির্বাচনি পরীক্ষা; দুই বিষয়ে ফেল করলেও একাদশে ভর্তির সুযোগ এসএসসিতে এক বা দুই বিষয় ফেল করলেও একাদশে ভর্তির সুযোগের বিষয়টি দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একসময় চালু ছিল। নতুন মূল্যায়নে এবার ঐ বিষয়টি যুক্ত করা হচ্ছে। একজন শিক্ষার্থী এসএসসিতে দুই বিষয়ে ফেল করলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে ফেল করা বিষয়ে পাশ করে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
এনসিটিবির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, তারা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে পড়ালেখা করবে। কিন্তু শর্ত হলো, অকৃতকার্য হওয়া বিষয়ে পাশ না করা পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। ৭০ শতাংশ শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে কি না, সেটা দেখা হবে। বর্তমানে দশম শ্রেণিতে নির্বাচনি বা টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করলেই শুধু এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া যায়। প্রস্তাবিত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া অনুযায়ী, এসএসসিতে থাকবে না টেস্ট পরীক্ষা। এর পরিবর্তে একজন শিক্ষার্থীর ৭০ শতাংশ হাজিরা থাকতে হবে।
মূল্যায়নের খসড়া অনুযায়ী, প্রতিটি মিডটার্ম ও চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার। চার ঘণ্টা থাকবে ব্যাবহারিক। এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলবে। এর মধ্যে একটি অংশের মূল্যায়নে অনুসন্ধান, প্রদর্শন, মডেল তৈরি, উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয় থাকবে। আরেকটি অংশে থাকবে লিখিত পরীক্ষা। সেখানে লিখিত উত্তরপত্র ব্যবহার করা হবে। ২০১৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী, ক্লাসে ৭০ শতাংশ উপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীরা পাবলিক পরীক্ষ অংশ নিতে পারবে। নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতিতে বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বয় কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার বলেন, ‘মূল্যায়ন পদ্ধতি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আশা করছি দ্রুতই চূড়ান্ত হবে।’ তিনি জানান, মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত হওয়ার পর শিক্ষা বোর্ডগুলো এটি বাস্তবায়ন করবে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে মূল্যায়ন করার জন্য এটুআই একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। শিক্ষকেরা এই অ্যাপের সহায়তা নিয়ে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন করবেন।
প্রস্তাবিত মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুযায়ী, পুরো মূল্যায়ন হবে বোর্ডের তত্ত্বাবধানে। কোনো নম্বর থাকবে না, মূল্যায়ন হবে সাতটি পর্যায়ে। মূল্যায়নের পর্যায়গুলো হলো অনন্য, অর্জনমুখী, অগ্রগামী, সক্রিয়, অনুসন্ধানী, বিকাশমান ও প্রারম্ভিক। গত বছর থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর এ বছর নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতেও চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম।