ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউপি নির্বাচন : বাবার প্রতিদ্বন্দ্বী ছেলে!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:২৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

দ্বিতীয় ধাপে বগুড়ার শিবগঞ্জের ১১ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরমধ্যে দুটি ইউপিতে একই পরিবার থেকে দু’জন করে প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোথাও বাবার মুখোমুখি ছেলে, আবার কোথাও মায়ের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছেলে।

উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে খন্দকার রমজান আলী ও তার ছেলে মাহবুব মোর্শেদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। খন্দকার রমজান আলী ময়দানহাটা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির ইউনিয়ন কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তবে তার ছেলে মাহবুব মোর্শেদ শিবগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বলে জানা গেছে। ভোটের মাঠে বাবা-ছেলের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি ওই এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। এ দুজন ছাড়াও ওই ইউনিয়নে আরো ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে মাহবুব মোর্শেদ জানান, তার বাবা বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি নির্বাচন করতে আগ্রহী। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কোনো রাজনৈতিক কৌশলে যদি তার বাবার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেলে তিনি নিজেই নির্বাচনে লড়বেন।

মাহবুব মোর্শেদ নিজেও ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা। সে ক্ষেত্রে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলে দল কোনো ব্যবস্থা নেবে কী-না, জানতে চাইলে তিনি বলন, দল ব্যবস্থা নিতে চাইলে নেবে।

এদিকে বিহার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জুলফিকার হাসান শাওন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত তোফাজ্জল হোসেন চানের ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তবে শাওনের সঙ্গে তার মা খালেদা আক্তারও চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন। মা-ছেলে দুজনই মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তারা নির্বাচনে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবেন না বলে জানিয়েছেন জুলফিকার হাসান শাওন।

তিনি বলেন, কৌশলগত কারণে আমার আম্মাকে প্রার্থী করিয়েছি। কোনো কারণে যদি আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়, সে জন্যই মাকে প্রার্থী করেছি। আমার প্রার্থিতা টিকে গেলে মা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন।

এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক মহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া এখানে আরো তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

শিবগঞ্জ উপজেলার ১১ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৬৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১১ জন, জাতীয় পার্টি মনোনীত তিনজন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত দুই জন ও তিনজন নারী চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৪৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২৬ অক্টোবর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ও পরদিন প্রতীক বরাদ্দ। সবকিছু ঠিক থাকলে ১১ নভেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইউপি নির্বাচন : বাবার প্রতিদ্বন্দ্বী ছেলে!

আপলোড টাইম : ০৭:২৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১

দ্বিতীয় ধাপে বগুড়ার শিবগঞ্জের ১১ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরমধ্যে দুটি ইউপিতে একই পরিবার থেকে দু’জন করে প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোথাও বাবার মুখোমুখি ছেলে, আবার কোথাও মায়ের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছেলে।

উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে খন্দকার রমজান আলী ও তার ছেলে মাহবুব মোর্শেদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। খন্দকার রমজান আলী ময়দানহাটা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির ইউনিয়ন কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তবে তার ছেলে মাহবুব মোর্শেদ শিবগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বলে জানা গেছে। ভোটের মাঠে বাবা-ছেলের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি ওই এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। এ দুজন ছাড়াও ওই ইউনিয়নে আরো ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে মাহবুব মোর্শেদ জানান, তার বাবা বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি নির্বাচন করতে আগ্রহী। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কোনো রাজনৈতিক কৌশলে যদি তার বাবার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেলে তিনি নিজেই নির্বাচনে লড়বেন।

মাহবুব মোর্শেদ নিজেও ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা। সে ক্ষেত্রে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলে দল কোনো ব্যবস্থা নেবে কী-না, জানতে চাইলে তিনি বলন, দল ব্যবস্থা নিতে চাইলে নেবে।

এদিকে বিহার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জুলফিকার হাসান শাওন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত তোফাজ্জল হোসেন চানের ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তবে শাওনের সঙ্গে তার মা খালেদা আক্তারও চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন। মা-ছেলে দুজনই মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তারা নির্বাচনে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবেন না বলে জানিয়েছেন জুলফিকার হাসান শাওন।

তিনি বলেন, কৌশলগত কারণে আমার আম্মাকে প্রার্থী করিয়েছি। কোনো কারণে যদি আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়, সে জন্যই মাকে প্রার্থী করেছি। আমার প্রার্থিতা টিকে গেলে মা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন।

এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক মহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া এখানে আরো তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

শিবগঞ্জ উপজেলার ১১ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৬৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১১ জন, জাতীয় পার্টি মনোনীত তিনজন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত দুই জন ও তিনজন নারী চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৪৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২৬ অক্টোবর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ও পরদিন প্রতীক বরাদ্দ। সবকিছু ঠিক থাকলে ১১ নভেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।