বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

পুলিশ পরিচয়ে সহযোগিতার ছলে বৃদ্ধা রোগীর ব্যাগ নিয়ে চম্পট!

  • আপলোড তারিখঃ ১২-০৩-২০১৮ ইং
পুলিশ পরিচয়ে সহযোগিতার ছলে বৃদ্ধা রোগীর ব্যাগ নিয়ে চম্পট!
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অভিনব কায়দায় এক রোগীর সাথে প্রতারণা নিজস্ব প্রতিবেদক: সড়ক দুর্ঘটনায় পায়ের ব্যাথায় কাতর চুয়াডাঙ্গা সদরের বোয়ালমারী গ্রামের সিরাজ মিয়ার স্ত্রী ষাটোর্ধ বৃদ্ধা ফুলজান বিবি। নাতনি ইরানীকে সাথে নিয়ে এসেছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স কনসালটেন্ট ডা. আবু বক্কর সিদ্দিকীর কাছে। তবে গ্রামে বাড়ি হওয়ায় শহুরে নিয়মকানুন ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। তাকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসে সাধারণ পোষাকধারী একজন ব্যক্তি। নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বৃদ্ধা ফুলজান বিবিকে সহযোগিতার জন্য নিজেকে জাহির করেন তিনি। সরল বিশ্বাসে ফুলজান বিবি তাকে সাথে নেয়; বলেন- ডাক্টারের কাছে যাবো। যেমন কথা তেমন কাজ; রীতিমত আপনজনের মত আগে আগে হাসপাতালের বর্হিবিভাগ থেকে টিকিট কেটে দেয়া থেকে শুরু করে ডাক্টার দেখানোর কাজটাও দ্রুত সময়ে করে দেয় সে। এজন্য অবশ্য সিড়ি ডিঙিয়ে যেতে হয় হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায়। ভাঙা পা নিয়ে ফুলজান বিবির উঠতে কষ্ট হওয়ায় তাকে সহযোগিতা করছিল নাতনি ইরানী। তবে তার সাথে শিশু সন্তান ইমরান থাকায় ভিড়ের মধ্যে একটু বেসামাল পরিস্থিতিতে পড়তে হয় তাদের। এমতাবস্থায় অজ্ঞাত নামের ওই ব্যক্তি বলে, ‘আপনি বাচ্চা সামলান, আমি আপনার দাদিকে দেখছি’। ইরানীও তার কথামত বাচ্চা সামলাতে ব্যস্ত। এরমধ্যে কখন যে ওই কূচক্রী ব্যক্তিটি তাদের কাছে থাকা ব্যাগটি নিয়ে চম্পট দিয়েছেন তা তারা বুঝেই উঠতে পারেনি। ব্যাগে ছিল একটি মোবাইল, নগদ ২ হাজার টাকা, এক্সরে ও চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। সময় যখন বেলা ১২টা, হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের রুমের সামনে বসে আহাজারি করছেন দাদি ও নাতি। ততক্ষণে আর কিছুই করার ছিলনা তাদের বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তবে দায়িত্বে থাকা দু’পুলিশ সদস্য ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেননি তারা। `` হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় তারা হাসপাতালের বর্হিবিভাগের রোগীদের সহযোগিতা ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছিল। বৃদ্ধা ফুলজান বিবিকেও তারাই হাসপাতালে প্রবেশের সময় সহযোগিতা করে। তবে ভিড়ের মধ্যে তাদের সাথে যে ব্যাক্তি এরূপ প্রতারণা করেছে সে পুলিশের কেউ নয় এবং তাকে লক্ষ্যও করতে পারেনি কেউ। হাসপাতালে আসা রোগীদের সাবধানতার জন্য কিছুক্ষণ পর পরই যেখানে হ্যান্ড মাইকে প্রচার করা হয়, ‘অপরিচিত ব্যক্তির কোন সহযোগিতা নেবেন না, কারো সাথে আর্থিক লেনদেনে জড়াবেন না। মানিব্যাগ, সাইডব্যাগসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিজ দায়িত্বে রাখুন এবং সতর্ক থাকুন’। এরপরেও রোগী ও রোগীর স্বজনেরা সতর্ক না হয়ে অপরিচিত ব্যক্তির সহযোগিতা নিতে গিয়ে বিপত্তি ঘটিয়ে বসলে তার দায় নেয়াটা অযোক্তিক।


কমেন্ট বক্স
notebook

বিপজ্জনক আগামী ২৪ ঘণ্টা