ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দলীয় স্বতন্ত্রদের চাপে রাখবে আওয়ামী লীগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৩১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাংগঠনিকভাবে মনিটরিং করবে আওয়ামী লীগ। নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে দলীয় কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী যেন বাড়াবাড়ি বা মারমুখী আচরণ না করে তা নিয়ন্ত্রণ করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে নৌকা প্রতীক পাওয়া প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ করেছেন একাধিক আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী। অভিযোগে পরস্পরকে দোষারোপ করা হয়েছে। ইস্যুটি আমলে নিয়ে সাংগঠনিকভাবে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনী কার্যক্রম মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে জানানো হয়, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন রোববার তিন জেলায় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা-সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন আহত হন। এরমধ্যে রাজশাহী-৪ আসনে নৌকা ও নাটোর-৪-এ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। পিরোজপুর-১ আসনে নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন আহত হন। গতকালও বেশ কয়েকটি নির্বাচনী এলাকা থেকে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। তাই আগে থেকেই বিষয়টার লাগাম টানতে চায় আওয়ামী লীগ। এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেয়া আওয়ামী লীগের কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না। তবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া যাবে, প্রতিযোগিতা করা যাবে কিন্তু প্রতিহিংসা দেখানো যাবে না। এরপরই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পক্ষ থেকেও একই ধরনের বার্তা দেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসেবে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও উৎসবমুখর করার পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে বিপুলসংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সবাইকে নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। তিনি নৌকার প্রার্থী হন কিংবা দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীই হন না কেন।
তিনি বলেন, সাংগঠনিকভাবে যেহেতু দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে রাখা হয়েছে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে না বলে জানানো হয়েছে সেহেতু নির্বাচনে তাদের বিধিবদ্ধ আচরণ, কার্যক্রম তো সাংগঠনিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এটাই তো স্বাভাবিক। একই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, নির্বাচনের সময় যদি কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আইন না মানেন কিংবা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন তাহলে নির্বাচন কমিশন নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। দল হিসেবে আমরা পুরোপুরি সহযোগিতা করবো। আমরা চাই নির্বাচনের পরিবেশ যেন উৎসবমুখর থাকে। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে। এজন্য দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ছাড় দেয়া হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে এই বার্তা দিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহ দিয়েছে। এর ব্যত্যয় যেন না ঘটে সেজন্য সাংগঠনিকভাবে অবশ্যই খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে শেষ পর্যন্ত প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৯৬ জন। গত রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এই হিসাব দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ছাড়া এই নির্বাচনে প্রার্থীদের বড় অংশই স্বতন্ত্র। এই সংখ্যা চার’শর কাছাকাছি। এই নির্বাচনে ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে প্রার্থী আছে ২৭টি দলের। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আছে ২৬৪ আসনে। দলটির আরও ২৬৯ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন। যারা ইতিমধ্যে ‘আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে ভোটের মাঠে পরিচিতি পেয়েছেন। এরমধ্যে ২৮ জন বর্তমান সংসদ সদস্যও রয়েছেন। যারা এবার দলের মনোনয়ন পাননি। কোনো কোনো আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এবার ২৭টি নিবন্ধিত দল অংশ নিলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্তত এক ডজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর জয়ের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই স্বতন্ত্ররাই।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। এবার ৩০০ সংসদীয় আসনে ২ হাজার ৭১৬টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ে ৭৩১টি বাতিল হয়। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান ২৮০ জন। আর বাছাইয়ে বৈধ হওয়ার পরও আপিলে বাদ পড়েন ৫ জন। গত রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে সারা দেশে ৩৪৭ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। আওয়ামী লীগ ও সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) ইতিমধ্যে আসন বণ্টন করেছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের মধ্যেও আসন সমঝোতা হয়ে গেছে। ফলে ভোটের মাঠে যতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা, তার সবটুকুই আওয়ামী লীগের স্থানীয় পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘিরে। সবমিলিয়ে এখন আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ২৬৪ আসনে। তবে শরিকদের নিয়ে নৌকা থাকছে ২৭০ আসনে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দলীয় স্বতন্ত্রদের চাপে রাখবে আওয়ামী লীগ

আপলোড টাইম : ১২:৩১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাংগঠনিকভাবে মনিটরিং করবে আওয়ামী লীগ। নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে দলীয় কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী যেন বাড়াবাড়ি বা মারমুখী আচরণ না করে তা নিয়ন্ত্রণ করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে নৌকা প্রতীক পাওয়া প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ করেছেন একাধিক আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী। অভিযোগে পরস্পরকে দোষারোপ করা হয়েছে। ইস্যুটি আমলে নিয়ে সাংগঠনিকভাবে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনী কার্যক্রম মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে জানানো হয়, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন রোববার তিন জেলায় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা-সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন আহত হন। এরমধ্যে রাজশাহী-৪ আসনে নৌকা ও নাটোর-৪-এ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। পিরোজপুর-১ আসনে নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন আহত হন। গতকালও বেশ কয়েকটি নির্বাচনী এলাকা থেকে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। তাই আগে থেকেই বিষয়টার লাগাম টানতে চায় আওয়ামী লীগ। এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেয়া আওয়ামী লীগের কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না। তবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া যাবে, প্রতিযোগিতা করা যাবে কিন্তু প্রতিহিংসা দেখানো যাবে না। এরপরই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পক্ষ থেকেও একই ধরনের বার্তা দেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসেবে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও উৎসবমুখর করার পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে বিপুলসংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সবাইকে নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। তিনি নৌকার প্রার্থী হন কিংবা দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীই হন না কেন।
তিনি বলেন, সাংগঠনিকভাবে যেহেতু দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে রাখা হয়েছে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে না বলে জানানো হয়েছে সেহেতু নির্বাচনে তাদের বিধিবদ্ধ আচরণ, কার্যক্রম তো সাংগঠনিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এটাই তো স্বাভাবিক। একই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, নির্বাচনের সময় যদি কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আইন না মানেন কিংবা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন তাহলে নির্বাচন কমিশন নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। দল হিসেবে আমরা পুরোপুরি সহযোগিতা করবো। আমরা চাই নির্বাচনের পরিবেশ যেন উৎসবমুখর থাকে। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে। এজন্য দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ছাড় দেয়া হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে এই বার্তা দিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহ দিয়েছে। এর ব্যত্যয় যেন না ঘটে সেজন্য সাংগঠনিকভাবে অবশ্যই খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে শেষ পর্যন্ত প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৯৬ জন। গত রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এই হিসাব দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ছাড়া এই নির্বাচনে প্রার্থীদের বড় অংশই স্বতন্ত্র। এই সংখ্যা চার’শর কাছাকাছি। এই নির্বাচনে ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে প্রার্থী আছে ২৭টি দলের। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আছে ২৬৪ আসনে। দলটির আরও ২৬৯ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন। যারা ইতিমধ্যে ‘আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে ভোটের মাঠে পরিচিতি পেয়েছেন। এরমধ্যে ২৮ জন বর্তমান সংসদ সদস্যও রয়েছেন। যারা এবার দলের মনোনয়ন পাননি। কোনো কোনো আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এবার ২৭টি নিবন্ধিত দল অংশ নিলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্তত এক ডজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর জয়ের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই স্বতন্ত্ররাই।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। এবার ৩০০ সংসদীয় আসনে ২ হাজার ৭১৬টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ে ৭৩১টি বাতিল হয়। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান ২৮০ জন। আর বাছাইয়ে বৈধ হওয়ার পরও আপিলে বাদ পড়েন ৫ জন। গত রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে সারা দেশে ৩৪৭ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। আওয়ামী লীগ ও সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) ইতিমধ্যে আসন বণ্টন করেছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের মধ্যেও আসন সমঝোতা হয়ে গেছে। ফলে ভোটের মাঠে যতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা, তার সবটুকুই আওয়ামী লীগের স্থানীয় পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘিরে। সবমিলিয়ে এখন আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ২৬৪ আসনে। তবে শরিকদের নিয়ে নৌকা থাকছে ২৭০ আসনে।