কুলপালা গ্রামের ঘরজামাই আদমব্যবসায়ী হাবুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী
- আপলোড তারিখঃ ২৬-০৮-২০১৭ ইং
সৌদি আরবে গৃহবধু সালমাকে নির্যাতনের চিত্র দেখে ফুসে উঠেছে আলমডাঙ্গার শিবপুর গ্রামবাসী
এম এ মামুন/সোহেল সজীব: সৌদি আরবে গিয়ে গৃহবধু সালমার উপর অমানবিক নির্যাতনের চিত্র দেখে আলমডাঙ্গার শিবপুর গ্রামবাসী চিহ্নিত আদমব্যপারী পাঁচকমলাপুর গ্রামের জলিলের ছেলে ও কুলপালার আছেরের জামাই হাবুর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের কাছে ভুক্তভোগী ও গ্রামবাসীদের দাবী অবিলম্বে হাবুকে আটক করে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া হাক। এদিকে দৈনিক সময়ের সমীকরণে হাবুর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর হাবু বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
গতকাল সরজমিনে নির্যাতিতা সালমার গ্রামের বাড়ী আলমডাঙ্গার শিবপুর গ্রামে গেলে গ্রামবাসীরা হাবুর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ তুলে ধরে। হাবু গত ১৫ বছর ধরে এলাকার কয়েক শত মহিলা ও পুরুষকে বিদেশে পাঠিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। হাবুর খপ্পরে পড়ে অনেকে সর্বশান্তও হয়েছে। যেমন সালমা তার উদহারণ। হাবুর গ্রামের বাড়ী আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচকমলাপুর হলেও সে একই উপজেলার কুলপালা গ্রামের মৃত আছেরের ঘর জামাই হিসাবে কুলপালা গ্রামে বসবাস করে। হাবু পেশায় দিনমজুর হলেও গত ১৫ বছর আগে তিনি নিজেও একবার সৌদি আরব যায়। হাবু সৌদি থেকে ফিরে এসেই আদমব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। গতকাল তার শ্বশুর বাড়ী গেলে তার স্বজনরা হাবুর আদম ব্যবসাকে যেমন মূল্যায়ন করেনি অনুরুপ তার দ্বারা মহিলাদেরকে বিদেশে পাঠানোর বিয়টিও ঘৃনার চোখে দেখছেন। এদিকে আদমব্যবসায়ী হাবুর বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমানের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা রজু হয়েছে।
উল্লেখ্য, দালালের খপ্পরে পড়ে গত ৭ মাস আগে সৌদি আরবে গিয়ে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন গৃহবধূ সালমা। গতকাল তার শয্যাপাশে যান চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন। সালমার চিকিৎসা বাবদ ১০ হাজার টাকাও প্রদান করেন তিনি।
কমেন্ট বক্স