বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

ঝুঁকি নিয়ে উচ্চাভিলাষী বাজেট

  • আপলোড তারিখঃ ৩১-০৫-২০১৭ ইং
ঝুঁকি নিয়ে উচ্চাভিলাষী বাজেট
`budget_48483_1496259226` চাপাচাপি যা করার এ বাজেটেই করা যাবে -অর্থমন্ত্রী ঝুঁকি নিয়ে উচ্চাভিলাষী বাজেট নির্বাচনের আগে শেষ বাজেট এটি : ‘চাপাচাপির’ ব্যাখ্যা নিয়ে বিতর্ক সমীকরণ ডেস্ক: জনগণকে তুষ্ট করতে ব্যাপক উন্নয়ন দরকার। আর এ উন্নয়ন সফল করতে প্রয়োজন বিশাল অঙ্কের রাজস্ব আয়। অর্থমন্ত্রীর ভাষায়, ‘চাপাচাপি যা করার এ বাজেটেই করা যাবে। এর পরের বাজেটে থাকবে নির্বাচনী হাওয়া।’ জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের জন্য এটি হচ্ছে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রীর ‘চাপাচাপির’ ব্যাখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য মেলাতে অর্থমন্ত্রীকে নতুন বছরে কঠোর হতেই হবে। বাড়তি রাজস্ব আয়ের জন্য বিদ্যমান করের আওতা সম্প্রসারণসহ নতুন নতুন খাত থেকে কর আদায় বাড়াতে হবে। এজন্য অর্থমন্ত্রীর সামনে একটাই পথ- বিতর্কিত নতুন ভ্যাট আইন ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা। এটি অর্থমন্ত্রীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এ আইনটি বাস্তবায়ন হলে জনগণের ওপর করের বোঝা ব্যাপক বাড়বে। দ্রব্যমূল্যের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়বে। এতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা থাকবে। এছাড়া সবচেয়ে বড় যে প্রভাব, তা পড়বে স্থানীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের ওপর। আমদানি পণ্যের কাছে দেশীয় পণ্য মার খাবে। সব মিলিয়ে এসব আশঙ্কা আর ঝুঁকি মাথায় নিয়েই উচ্চাভিলাষী বাজেট প্রণয়ন করেছেন অর্থমন্ত্রী। গতকাল দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার উচ্চাভিলাষী এক বাজেট পেশ করতে যচ্ছেন অর্থমন্ত্রী, যা চলতি বাজেটের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। দুপুর দেড়টায় অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত এ বাজেট উপস্থাপন করবেন। এটি হবে অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিতের একাধারে ৯ বার বাজেট উপস্থাপন। এছাড়া বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের চতুর্থ এবং অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ১১তম বাজেট। এতে অর্থ সংস্থানের জন্য সম্প্রসারণমূলক কর পরিধি ও নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নসহ রাজস্ব আদায় বাড়াতে থাকছে নানামুখী পদক্ষেপ। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী, প্রস্তাবিত এ বাজেটের সম্ভাব্য আকার হচ্ছে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। এতে মোট রাজস্ব আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে কর রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ হচ্ছে ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে এনবিআর থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ২০ কোটি টাকা। এ ছাড়া কর ব্যতীত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ২৭ হাজার কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের কর রাজস্ব ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা এবং নন এনবিআর করের লক্ষ্য ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কর ব্যতীত প্রাপ্য হচ্ছে ২৪ হাজার কোটি টাকা। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের ঘোষণা থাকছে বাজেটে। পাশাপাশি ভ্যাট অব্যাহতির বিদ্যমান সীমা ৩০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩৬ লাখ টাকা এবং টার্নওভারের সীমা ৮০ লাখ থেকে বাড়িয়ে দেড় কোটি টাকা করা হচ্ছে। নতুন বাজেটটি হবে বর্তমান সরকারের মেয়াদের পূর্ণ অর্থবছরের শেষ বাজেট। উন্নয়ন ব্যয় বাদ দিলে অনুন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে আগামী বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, ঋণের সুদ পরিশোধ এবং ভর্তুকিতেই ব্যয় হয়ে যাবে এক-তৃতীয়াংশ। এর পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি হবে বলে জানা গেছে। চিন্তায় আছেন আমানতকারীরাও। ব্যাংকে টাকা জমালে লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি হয় কি না, সেই দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা। কারণ, একদিকে আমানতের সুদ কম, তার ওপর আমানতের টাকার ওপর আবগারি শুল্ক দ্বিগুণ প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের মতো আগামী বাজেটেও ফার্স্ট ট্র্যাক বা বড় প্রকল্পের জন্য বিশেষ বাজেট অর্থাৎ ৩৩ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতা। এ আওতায় বিভিন্ন ভাতার পরিমাণ ও উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যেমন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বছরে দুটি উৎসব ভাতার প্রস্তাব আছে। নতুন ভ্যাট আইনে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট ছাড় দেওয়া হতে পারে। এই তালিকায় থাকছে মোটরসাইকেল, রেফ্রিজারেটর ও শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) সংযোজন শিল্প, ভোজ্যতেল, সফটওয়্যার শিল্প, বাস-ট্রেন-লঞ্চের টিকিট ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রায় ১৪ শ পণ্য ও সেবায় বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখা হচ্ছে। কিছু পণ্য ও সেবায় সম্পূরক শুল্ক হার বাড়ানো হতে পারে। আয়কর খাতে কিছু পরিবর্তন আসছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হতে পারে। এ ছাড়া তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের বর্তমান উৎসে কর দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হতে পারে।


কমেন্ট বক্স
notebook

চুয়াডাঙ্গায় টানা দাবদাহে অতিষ্ঠ প্রাণিকূল, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ