সকল প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা : নির্বাচনে অংশগ্রহণের নির্দেশ
- আপলোড তারিখঃ ০৯-০১-২০১৮ ইং
চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাাষ্ট্রি’র দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাাষ্ট্রি’র দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচনের চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন। গতকাল বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায় গত ৪ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড দাখিলকৃত সাধারণ সদস্য পদে ২৭টি এবং সহযোগি সদস্য পদে ৭টি মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেন এবং তফসিল অনুযায়ী গতকাল বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। বৈধ প্রার্থীদের তালিকা-মোঃ ইয়াকুব হোসেন মালিক, মোঃ শাহারিন হক মালিক, মোঃ মন্জুরুল আলম মালিক লার্জ, সালাউদ্দিন মোঃ মর্তুজা, এস,এম তসলিম আরিফ (বাবু), নীল রতন সাহা, এ,কে, এম, সালাউদ্দিন মিঠু, মোঃ আরিফ হোসেন জোয়ার্দ্দার সোনা, মোঃ তাজুল ইসলাম (তাজু), হারুন অর রশিদ, কিশোর কুমার কুন্ডু, মোঃ মাহফুজুর রহমান জোয়ার্দ্দার (মিজাইল), মোঃ সামসুজ্জামান, পবিত্র কুমার আগরওয়ালা, আলাউদ্দিন হেলা, মোঃ মানিকুজ্জামান, মোঃ মকলেছুর রহমান, মোঃ ফজলে রাব্বী মুন্সি, মোঃ মাহবুব আলম, মোঃ সালাউদ্দিন মল্লিক, হাজী মোঃ আবুল কালাম, আব্দুল মান্নান, মোঃ মফিজুর রহমান মনা, মোঃ জাহিদুল হাসান জোয়ার্দ্দার, মোঃ দেলোয়ার উদ্দিন জোয়ার্দ্দার, মোঃ সামসুদ্দোহা মল্লিক হাসু ও তানজির আহমেদ রনি। এছাড়া সহযোগী সদস্য পদে যারা মনোনয়ন উত্তোলন করেন তারা হলেন- নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার, এ.এন.এম. আরিফ, মোঃ কামরুল ইসলাম, সুরেশ কুমার আগরওয়ালা, মোঃ মাহবুল ইসলাম সেলিম, মোঃ ইলিয়াস হোসেন ও মোঃ ওহিদুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে যানা যায়, ৪ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড দাখিলকৃত সাধারণ সদস্য পদে ২৭টি এবং সহযোগি সদস্য পদে ৭টি মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করলে মনোনয়ন দাখিলকারী ৫জন সদস্য রেসপনডেন্ট (অযোগ্য) প্রার্থী হিসেবে -মোঃ ইয়াকুব হোসেন মালিক, মোঃ শাহারিন হক মালিক, মোঃ মন্জুরুল আলম মালিক লার্জ, সালাউদ্দিন মোঃ মর্তুজা, এস,এম তসলিম আরিফ (বাবু), নীল রতন সাহা, এ,কে, এম, সালাউদ্দিন মিঠু, মোঃ আরিফ হোসেন জোয়ার্দ্দার সোনা, মোঃ তাজুল ইসলাম (তাজু), হারুন অর রশিদ, কিশোর কুমার কুন্ডু, নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার এ,এন,এম আরিফ, কামরুল ইসলাম হিরা ও সুরেশ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে উল্লেখ থাকে যে, যাচাই বাঁছাইকালে গত ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের সংশোধিত ২১ ক এর (খ) ও (গ) বিধি বহির্ভূত ভাবে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের প্রধান এ্যাড. আশরাফ আলী বলেন যেহেতু প্রজ্ঞাপনটি আমার তফসিল ঘোষণার প্রায় দেড় মাস পরে হয়েছে সেহেতু অভিযোগটি বিধিসম্মত নয়। এসময় তিনি অভিযোগটি নিয়মানুযায়ী আপিল বোর্ডের নিকট প্রেরণ করেন।
চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন ২০১৮-২০২০ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত আপিল বোর্ডের আহবায়ক এ্যাড. এম.এম. শাহজাহান মুকুল এবং সদস্য এ্যাড. আকসিজুল ইসলাম রতন ও এ্যাড. মোঃ আবুল বাশার অভিযোগটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করে বলেন চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের ২০১৮-২০২০ দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচনের তফসিল বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের গত ১৫ মার্চ ২০১৭ অনুযায়ী হয়েছে বিধায় কোন সদস্যের প্রার্থীতা অযোগ্য নয় এই মর্মে আপিল বোর্ড নি¤েœাক্ত রায় প্রদান করেন।
রায়ে বলা হয়, আপীলকারী হিসেবে (১) মোঃ আব্দুল মান্নান নান্নু, ভোটার তালিকার ভোট নং-২৩২, (২) হাজী মোঃ আবুল কালাম, ভোটার তালিকার নং-২০৪, (৩) মোঃ আলাউদ্দিন হেলা, ভোটার তালিকার ভোট নং-১৯৫, (৪) মোঃ মফিজুর রহমান মনা, ভোটার তালিকার ভোট নং-৪০১, (৫) মোঃ দেলোয়ার হোসেন জোয়ার্দ্দার, ভোটার তালিকার ভোট নং-১৮৭ প্রাপ্তিমতে শুনানীর জন্য গ্রহণ করা হলো। শুনানীকালে আপীলকারীগণের মধ্য থেকে মোঃ আলাউদ্দিন হেলা, ভোটার নং-১৯৫ যুক্তি শোনা হলো এবং ০৫.১২.১৭ তারিখের গেজেট মতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বক্তব্য পেশ করলেন। আপীলকারীগণের দরখাস্ত ০৫.১২.১৭ তারিখের গেজেট ১৫.০৩.২০১৭ তারিখের বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের আদেশ এবং বর্তমান নির্বাচনের তফসিলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাঁছাই করা হলো। কাগজমতে ১৫.০৩.২০১৭ তারিখের বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের আদেশ পর্যালচনায় দেখা যায় নির্বাচনে কোন বাঁধা নাই। তফসিল জারির পত্রে দেখা যায় তফসিল ১২.১১.২০১৭ তারিখে তফসিল ঘোসিত হইয়াছে এবং তফসিল ঘোষণার পরে বর্তমান আপীলকারী দরখাস্তকারীগণসহ অন্যান্যরা মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। তফসিল জারির তারিখ এবং গেজেট প্রকাশের তারিখ পর্যালচনায় দেখা যায় তফসিল গেজেট প্রকাশের পূর্বে অর্থাৎ ১২.১১.২০১৭ তারিখে ঘোষিত হইয়াছে। গেজেট পরবর্তীতে ০৫.১২.২০১৭ তারিখে প্রকাশিত হইয়াছে। তফসিল ঘোষণার পরে প্রার্থীগণ তফসিলকে প্রাথমিক ভাবে মানিয়া লইয়া মনোনয়ন পত্র দাখিল করিয়াছেন। সে কারণে আপীলকারীগণ প্রার্থীত মতে প্রতিকার পাইতে হকদার নহে।
উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১৫ই মার্চ, ২০১৭ তারিখের আদেশে বলা হয় বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ে এস.আর.ও নম্বর ৩৬৩-আইন/২০০২ তারিখ ২১ ডিসেম্বর, ২০০২ এর প্রজ্ঞাপনটির আলোকে সংঘবিধির প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে পারবে মর্মে গত ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে বা/টিও-১/সি-২/৯৯ (অংশ)/২৫ নম্বর স্মারক মোতাবেক সকল চেম্বার/এসোসিয়েশেন/মালিক গ্রুপ/অন্যান্য সংস্থাসমূহকে জানিয়ে দেয়া হয়। এর.আর.ও নং ৩৬৩-আইন/২০০২ এ বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা, ১৯৯৪ এর বিধি ২১ বিলুপ্ত হওয়ায় একজন ব্যাক্তি/প্রার্থী প্রতিমেয়াদেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে কোন বাধা নেই অর্থাৎ পূর্বে ৩ (তিন) মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ার পর অন্ততঃ এক মেয়াদে বিরতির যে বিধান ছিল তা আর কার্যকর নেই।
কমেন্ট বক্স