জীবননগরের তিন ইউপি নির্বাচনে জমে উঠেছে প্রচারণা
- আপলোড তারিখঃ ২১-১২-২০১৭ ইং
ডেস্ক রিপোর্ট: জীবননগর উপজেলার পুনর্গঠিত উথলী, নবগঠিত মনোহরপুর এবং কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। দীর্ঘ ১৪ বছর পর এ তিনটি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর এ তিন ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে এ নির্বাচনে নিজেদেরকে ‘অস্তিত্বের লড়াই’ হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। নির্বাচনে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে সবরকম কৌশল নিয়ে মাঠে নেমেছে বড় দুই দলের নেতকর্মীরা। ভোটারদের দৃষ্টিতে তিনটি ইউনিয়নেই নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই হবে। তবে একটিতে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থীরও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তিনটি ইউনিয়নের ২৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১২টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উপজেলার পুনর্গঠিত উথলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এরা হলেন: আওয়ামী লীগের আব্দুল হান্নান, বিএনপি’র আবুল কালাম আজাদ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আবজালুর রহমানর ধীরু, বিএনপির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আসাদুর রহমান ভেদু এবং জামায়াত সমর্থিত (স্বতন্ত্র) মোহাম্মদ মহিউদ্দীন। এছাড়াও এ ইউনিয়নে সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২ জন ও সাধারণ সদস্যপদে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নবগঠিত কেডিকে ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের খায়রুল বাশার শিপলু, বিএনপি’র তানভীর হোসেন রাজিব, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আবুল বাসার ও আলমগীর হোসেন এবং জামায়াত সমর্থিত (স্বতন্ত্র) মাওঃ আব্দুস সাত্তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও সংরক্ষিত সদস্যপদে ১২ জন ও সাধারণ সদস্যপদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং নবগঠিত মনোহরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সোহরাব হোসেন খান সুরোদ্দীন, বিএনপি’র কামরুজ্জামান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী রাজা মিয়া ও জামায়াত সমর্থিত (স্বতন্ত্র) আসাবুল হক মল্লিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ ইউনিয়নে সংরক্ষিত সদস্যপদে নয়জন ও সাধারণ সদস্যপদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। (তথ্য সূত্র- ইত্তেফাক)
কমেন্ট বক্স