বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

দর্শনায় পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনার এক মাস পর ৭ সহকর্মীর নামে হত্যা মামলা

  • আপলোড তারিখঃ ২২-০৫-২০২৫ ইং
দর্শনায় পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনার এক মাস পর ৭ সহকর্মীর নামে হত্যা মামলা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ইমিগ্রেশন ভবন থেকে পুলিশ কনস্টেবল শামিম রেজা সাজুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সাতজন সহকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার এক মাস পর নিহত শামিম রেজার বাবা হাসেম আলী ফরাজী এই মামলা করেন। গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা আমলী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম তা আমলে নেন এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের দায়িত্ব দেন।


বাদীপক্ষের আইনজীবী নাজমুল হাসান লাভলু জানান, বাদীর পক্ষে আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে কনস্টেবল শামিমের মত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নিহত শামিম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইমিগ্রেশন ভবনের দোতলার একটি কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখন দর্শনা থানায় একটি অপমত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছিল।


নিহতের বাবা হাসেম আলী ফরাজী মামলায় অভিযোগ করেন, তার ছেলে বিবাহিত এবং তার পাঁচ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। শামিম তার সহকর্মীদের সঙ্গে চেকপোস্ট ভবনের দোতলায় থাকতেন। পারিবারিক জীবনে কোনো অশান্তি ছিল না। তবে দর্শনায় বদলির পর থেকেই শামিম বিভিন্নভাবে সহকর্মীদের মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন- এএসআই তারেক মাহমুদ, লাভলুর রহমান, মিঠুন হোসেন, সহিদুল ইসলাম, কনস্টেবল মেহেদী হাসান, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই রমজান আলী ও কনস্টেবল সোহেল রানা।


অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে, ১ থেকে ৬ নম্বর আসামি প্রায়ই শামিমকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতেন, হুমকি দিতেন এবং কাজের অজুহাতে মানসিক চাপে রাখতেন। শামিম এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় ১৭ এপ্রিল তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। এরপর তিনি তার গ্রামের সহকর্মী ও ৭ নম্বর আসামি সোহেল রানাকে হোয়াটসঅ্যাপে বিষয়টি জানান। কিন্তু সোহেল রানা তা পরিবারের কাউকে না জানিয়ে উল্টো অন্যদের জানিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই রাতেই (১৭ এপ্রিল) সহকর্মীরা একত্রিত হয়ে শামিমকে হত্যা করেন এবং মরদেহ ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজান বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সত্যতা যাচাইয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।



কমেন্ট বক্স
notebook

ভারতে ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত