মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজারে রমজানকে কেন্দ্র করে চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে লেবু, শসা, বেগুন, পটল, ঢেঁড়সসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। সবজিখ্যাত মেহেরপুরের বাজারগুলোতে রোজার শুরুর দিন থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে আকাশ ছুঁয়েছে। বিশেষ করে বেগুন, শসা, পটল, ঢেঁড়স ও লেবুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বেড়েছে তিন থেকে চারগুণ।
বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য। প্রকারভেদে বেগুন কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ২৫ থেকে ৩০ টাকা ছিল। শসা কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পটল প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৫০-৬০ টাকা ছিল। লেবুর হালি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অথচ, কয়েকদিন আগেও মেহেরপুরের বাজারগুলোতে এসব পণ্য ছিল মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। সবজির পাশাপাশি মেহেরপুরের বাজারে সয়াবিন তেলেরও সংকট দেখা দিয়েছে। খুচরা দোকানদাররা বলছেন, ডিলাররা আমাদের সয়াবিন তেল দিচ্ছেন না। তেল নিতে হলে অন্যান্য মালও নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, কয়েকদিনের ব্যবধানে সবজির দাম বেড়েছে দুই থেকে তিনগুণ। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কম তাই দাম বেশি। তবে, পাইকার ব্যবসায়ীরা বলেছেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা কমদামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক ও ক্রেতা সাধারণ।
ক্রেতারা জানান, রমজানে বাজারে সকল পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে আমাদের মতো গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের বাজার করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর দাবি জানান তারা।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি রফিক উল আলম বলেন, বাজারের আড়তদাররা কৌশলে বাজারের দাম বৃদ্ধি করছে। তারা মেমোতে দেখাচ্ছে কৃষকদের পণ্য বেশি দরে বিক্রি করছে। আসলে সেটা নয়, হাত ঘুরে আড়তদারদের কার-সাজিতেই বাজারে সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বাজার মনিটরিং নেই এবং নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলেও ব্যর্থতা স্বীকার করেন।