মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

মেহেরপুরে নৈশ প্রহরীর বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের চাল!

  • আপলোড তারিখঃ ৩১-০৩-২০২০ ইং
মেহেরপুরে নৈশ প্রহরীর বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের চাল!
মেহেরপুর অফিস: প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের (জিআর) ৯ বস্তা চাল জেলা প্রশাসকের অফিসের নৈশপ্রহরী শহীদ আলীর বাড়িতে পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী ২৮ বস্তা চালের কথা বলে অভিযোগ করলেও তার বাড়িতে গিয়ে একটি ঘরের ভেতর ৯ বস্তা চাল পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ১৬ বস্তা চাল পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। বাকি ৭ বস্তা চালের বিষয়ে তিনি বলেন, আত্মীয়স্বজনদের ৫-১০ কেজি করে দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে মেহেরপুর সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামে নৈশপ্রহরী শহিদ আলীর বাড়িতে এ চালগুলো পাওয়া যায়। চালের বস্তায় লেখা রয়েছে ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ খাদ্য অধিদপ্তর, নেট ওজন ৩০ কেজি। এ বিষয়ে শহীদ আলী বলেন, আমি ডিসি স্যারের অফিসে নৈশপ্রহরীর চাকরি করি। আমার ছেলে মহিদুর তিন বছর ধরে ডিসি স্যারের গাড়ি ধোয়া মোছার কাজ করে। সে কোনো বেতন পাই না। সে কারণে ডিসি স্যার তাকে ৫০০ কেজি চাল খেতে দিয়েছেন। ছেলে মহিদুর রহমান জানায়, ডিসি স্যার আমাকে কোনো বেতন দেন না। তাই চালগুলো খেতে দিয়েছে। গ্রামবাসী নজরুল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেন বলেন, এই দফায় ২৮ বস্তা চাল নিয়ে এসেছে তারা। এ রকম মাঝে মধ্যেই চাল নিয়ে আসেন। দেশে করোনার বিপর্যয়ে অনেক গরিব মানুষ খেতে পাচ্ছেনা। অথচ ডিসি অফিসের কর্মচারীর বাড়িতে এতগুলো চাল। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গণি জানান, নৈশপ্রহরী শহীদ আলীর ছেলে মহিদুর রহমান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ওমেদার হিসেবে কাজ করেন। আগের জেলা প্রশাসক মহোদয়রা প্রতিবছর তাকে এক মেট্রিক টন করে জিআর (জেনারেল রিলিফ) প্রকল্পের চাল বরাদ্দ দিয়েছেন। আমি দেড় বছরের মধ্যে এই প্রথম গত ১১ মার্চ তাকে হাফ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি। এ ছাড়া যদি অন্য কোনো চাল তার বাড়িতে থেকে থাকে তবে সে দায়ভার তাকেই নিতে হবে। চালের বস্তায় লেখা নিয়ে তিনি বলেন, খাদ্য অধিপ্তরের শ্লোগান ওটা। তাই যে কোনো প্রকল্পের চালের বস্তায় এ কথা লেখা থাকতে পারে।


কমেন্ট বক্স
notebook

চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গায় যৌথ সভায় জেলা বিএনপির সম্পাদক শরীফুজ্জামান