ইপেপার । আজশুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেখানে যান সেখানেই বিয়ে করেন আনসার সদস্য তরিকুল

স্বামীকে নিয়ে দুই স্ত্রীর কাড়াকাড়ি-ধ্বস্তাধস্তি!

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

স্বামী-স্ত্রী নিয়ে কত খবরই না পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। স্বামী নিয়ে দুই স্ত্রীর কাড়াকাড়ি বা চুলোচুলির খবরও বাদ পড়েনি। তবে ঝিনাইদহে এক অপ্রাপ্ত বয়সী কিশোরী স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর ৬ষ্ঠ স্ত্রীর মধ্যে স্বামীর দখল নিয়ে কাড়াকাড়ির ঘটনা শহরজুড়ে ”াঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি গ্রামে।

প্রতিবেশী জাহিদুল ইসলাম জানান, ৮ম শ্রেণি পাশ আনসার সদস্য তরিকুল ইসলামের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। কর্মরত আছেন ঢাকার সূত্রাপুর থানায়। ৩৭ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন ৭টি। তিনি যেখানেই যান, সেখানেই বিয়ে করেন। সর্বশেষ বিয়ে করেছেন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি গ্রামে। বর্তমানে তিন নম্বর স্ত্রী পারভীন গ্রামে আর ৬ষ্ঠ স্ত্রী থাকেন যশোরের বেনাপোলে। দুই স্ত্রীর দুটি করে মোট চারটি সন্তান রয়েছে। খবর পেয়ে ৬ষ্ঠ স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী আড়াই বছরের কন্যাকে নিয়ে স্বামীকে ফিরে পেতে আসেন ঝিনাইদহের পবহাটি গ্রামে সপ্তম স্ত্রীর বাড়িতে। কিন্তু বিধি বাম! ওই বাড়িতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বেঁধে যায় রণক্ষেত্র। দুই স্ত্রীর মধ্যে চুলোচুলি ধস্তাধস্তি থেকে থেকে মারামারি বেধে যায়। এসময় দুই স্ত্রীই স্বামীর দুই হাত ধরে টানতে থাকেন। কোনো উপায় না পেয়ে পালিয়ে যান আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম।

ষষ্ঠ স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী জানান, বেনাপোল বন্দরে কর্মরত থাকা অবস্থায় তরিকুল তাদের গ্রামে যেতেন। নিজেকে এতিম অসহায় পরিচয় দিয়ে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। তার মিষ্টি কথায় ভুলে ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন তরিকুল। ২০২২ সালে ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে তাকে খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেন। স্ত্রী ও সন্তানদের কোনো খরচ দিত না। আনসার সদস্য তরিকুল ঢাকায় যাওয়ার পর ইমোতে পরিচয় হয় ঝিনাইদহের পবহাটি গ্রামের সেজুতির সঙ্গে। প্রেম করে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সেজুতিকে বিয়ে করেন তরিকুল। সেজুতিকে বিয়ের পর ৬ষ্ঠ স্ত্রীকে একেবারেই ভুলে যান এবং সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

হোসনে আরা আক্তার সাথী জানায়, ‘গত ঈদে সে হঠাৎ আমার কাছে গিয়ে ৬ দিন ছিল এবং ৪০ হাজার টাকা নিয়ে আসে। তারপর আবার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।’ সাথীর আড়াই বছরের মেয়েটি পিতার জন্য সবসময় কান্নাকাটি করতে থাকায় স্বামীর সন্ধান করতে থাকেন সাথী। ঝিনাইদহ আছে এমন খবর পেয়ে তিনি পবহাটি গ্রামের ওই বাড়ি যান। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর ৭ম স্ত্রী সেজুতি ও তার পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে বের করে দেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। আর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন তরিকুল ইসলাম। এ ব্যাপারে আনসার সদস্য তরিকুলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমি এখন ব্যস্ত, পরে কথা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যেখানে যান সেখানেই বিয়ে করেন আনসার সদস্য তরিকুল

স্বামীকে নিয়ে দুই স্ত্রীর কাড়াকাড়ি-ধ্বস্তাধস্তি!

আপলোড টাইম : ০৮:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

স্বামী-স্ত্রী নিয়ে কত খবরই না পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। স্বামী নিয়ে দুই স্ত্রীর কাড়াকাড়ি বা চুলোচুলির খবরও বাদ পড়েনি। তবে ঝিনাইদহে এক অপ্রাপ্ত বয়সী কিশোরী স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর ৬ষ্ঠ স্ত্রীর মধ্যে স্বামীর দখল নিয়ে কাড়াকাড়ির ঘটনা শহরজুড়ে ”াঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি গ্রামে।

প্রতিবেশী জাহিদুল ইসলাম জানান, ৮ম শ্রেণি পাশ আনসার সদস্য তরিকুল ইসলামের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। কর্মরত আছেন ঢাকার সূত্রাপুর থানায়। ৩৭ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন ৭টি। তিনি যেখানেই যান, সেখানেই বিয়ে করেন। সর্বশেষ বিয়ে করেছেন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি গ্রামে। বর্তমানে তিন নম্বর স্ত্রী পারভীন গ্রামে আর ৬ষ্ঠ স্ত্রী থাকেন যশোরের বেনাপোলে। দুই স্ত্রীর দুটি করে মোট চারটি সন্তান রয়েছে। খবর পেয়ে ৬ষ্ঠ স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী আড়াই বছরের কন্যাকে নিয়ে স্বামীকে ফিরে পেতে আসেন ঝিনাইদহের পবহাটি গ্রামে সপ্তম স্ত্রীর বাড়িতে। কিন্তু বিধি বাম! ওই বাড়িতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বেঁধে যায় রণক্ষেত্র। দুই স্ত্রীর মধ্যে চুলোচুলি ধস্তাধস্তি থেকে থেকে মারামারি বেধে যায়। এসময় দুই স্ত্রীই স্বামীর দুই হাত ধরে টানতে থাকেন। কোনো উপায় না পেয়ে পালিয়ে যান আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম।

ষষ্ঠ স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী জানান, বেনাপোল বন্দরে কর্মরত থাকা অবস্থায় তরিকুল তাদের গ্রামে যেতেন। নিজেকে এতিম অসহায় পরিচয় দিয়ে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। তার মিষ্টি কথায় ভুলে ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন তরিকুল। ২০২২ সালে ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে তাকে খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেন। স্ত্রী ও সন্তানদের কোনো খরচ দিত না। আনসার সদস্য তরিকুল ঢাকায় যাওয়ার পর ইমোতে পরিচয় হয় ঝিনাইদহের পবহাটি গ্রামের সেজুতির সঙ্গে। প্রেম করে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সেজুতিকে বিয়ে করেন তরিকুল। সেজুতিকে বিয়ের পর ৬ষ্ঠ স্ত্রীকে একেবারেই ভুলে যান এবং সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

হোসনে আরা আক্তার সাথী জানায়, ‘গত ঈদে সে হঠাৎ আমার কাছে গিয়ে ৬ দিন ছিল এবং ৪০ হাজার টাকা নিয়ে আসে। তারপর আবার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।’ সাথীর আড়াই বছরের মেয়েটি পিতার জন্য সবসময় কান্নাকাটি করতে থাকায় স্বামীর সন্ধান করতে থাকেন সাথী। ঝিনাইদহ আছে এমন খবর পেয়ে তিনি পবহাটি গ্রামের ওই বাড়ি যান। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর ৭ম স্ত্রী সেজুতি ও তার পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে বের করে দেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। আর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন তরিকুল ইসলাম। এ ব্যাপারে আনসার সদস্য তরিকুলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমি এখন ব্যস্ত, পরে কথা হবে।’