ইপেপার । আজসোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোতায়েন ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩৩৩৬ জন সদস্য

দামুড়হুদা-জীবননগর নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ-প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা বলয়

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৮:০০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শেষ হলো প্রথম ধাপের দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে তা চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েন ছিল পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৩ হাজার ৩৩৬ জন সদস্য। এ দুই উপজেলায় একজন করে মোট দুজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, প্রত্যেক পৌরসভা ও ইউনিয়নে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন। পুলিশ-প্রশাসনের এমন নজিরবিহীন নিরাপত্তা বলয় ও তৎপরতায় খুশি প্রার্থী ও সাধারণ ভোটাররা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫৮টি ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশের ৮৬৭ জনসহ মোট ৩ হাজার ৩৩৬ জন ফোর্স মোতায়েন ছিল। এর মধ্যে ৬৩টি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৮৯ জন পুলিশ সদস্য ও ৯৫টি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৮৫ জন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়া ৩০টি মোবাইল টিমে ১৫০ জন পুলিশ সদস্য, ১০টি স্ট্রাইকিং টিমে ৪০ জন সদস্য, ১টি স্ট্যান্ডবাই টিমে ১২ জনসহ অন্যান্য নির্বাচনী ডিউটিতে ১৯১ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৩২ জন র‌্যাব সদস্য, ১০০ জন বিজিবি সদস্য, আনসার ব্যাটালিয়ন ৩০ জন ও অঙ্গীভূত আনসার সদস্য ২৩০৭ জন নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন।

নির্বাচনী মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, গুরত্বপূর্ণ কেন্দ্র বিবেচনায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ পরিদর্শকের (ওসি) নেত্বতে পুলিশ ফোর্স, কোথাও উপ-পরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এ দুই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ সার্বক্ষণিক নির্বাচনী এলাকায় তৎপর ছিলেন। এসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১৭ মামলায় ১৭ জনকে ১১ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও বাধা দেয়ার অপরাধে দুজনকে যথাক্রমে ৭ দিন ও ৪ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি এলাকার ভোটার আজিজুল হক বলেন, ‘এমন ভোট আগে দেকিনি। আগের ভোটগুলোতে সেন্টারে যেতে বাধা দিত, ভয়ও লাগত। এবার  পুলিশ যেরাম করে (যেভাবে) ঘোরাঘুরি করছে, তাতে ভোট ভালোই হবে বলে মনে হচ্ছি। আমিও ভালোভাবে ভোট দিতে পারিচি।’ জীবননগর থানা মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোট দিতে আসা কাদির সুমন নামের এক যুবক বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ খুবই ভালো। পুলিশ যেভাবে টহল দিচ্ছে, তাতে করে একটি সুন্দর নির্বাচন হবে বলে মনে করছি। আমরা চাই, এভাবেই যেন আমরা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারি।’

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, ‘আমরা সমন্বিত মাধ্যমে কাজ করছি। আমাদের সাথে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আছে, তারা তথ্য দিচ্ছে। পুলিশ বিভিন্ন কেন্দ্র ছাড়াও মোবাইল ও স্ট্রাইকিং পার্টিতে আছে। আমরা নিরাপত্তা পরিকল্পনা এমনভাবে সাজিয়েছি, কোথাও কোনো ছোটখাটো কিছু হলে তাৎক্ষণিক আমাদের নজরে আসছে। এবং এই নজরে আসার সাথে সাথেই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মোতায়েন ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩৩৩৬ জন সদস্য

দামুড়হুদা-জীবননগর নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ-প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা বলয়

আপলোড টাইম : ০৮:০০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শেষ হলো প্রথম ধাপের দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে তা চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েন ছিল পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৩ হাজার ৩৩৬ জন সদস্য। এ দুই উপজেলায় একজন করে মোট দুজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, প্রত্যেক পৌরসভা ও ইউনিয়নে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন। পুলিশ-প্রশাসনের এমন নজিরবিহীন নিরাপত্তা বলয় ও তৎপরতায় খুশি প্রার্থী ও সাধারণ ভোটাররা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫৮টি ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশের ৮৬৭ জনসহ মোট ৩ হাজার ৩৩৬ জন ফোর্স মোতায়েন ছিল। এর মধ্যে ৬৩টি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৮৯ জন পুলিশ সদস্য ও ৯৫টি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৮৫ জন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়া ৩০টি মোবাইল টিমে ১৫০ জন পুলিশ সদস্য, ১০টি স্ট্রাইকিং টিমে ৪০ জন সদস্য, ১টি স্ট্যান্ডবাই টিমে ১২ জনসহ অন্যান্য নির্বাচনী ডিউটিতে ১৯১ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৩২ জন র‌্যাব সদস্য, ১০০ জন বিজিবি সদস্য, আনসার ব্যাটালিয়ন ৩০ জন ও অঙ্গীভূত আনসার সদস্য ২৩০৭ জন নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন।

নির্বাচনী মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, গুরত্বপূর্ণ কেন্দ্র বিবেচনায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ পরিদর্শকের (ওসি) নেত্বতে পুলিশ ফোর্স, কোথাও উপ-পরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এ দুই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ সার্বক্ষণিক নির্বাচনী এলাকায় তৎপর ছিলেন। এসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১৭ মামলায় ১৭ জনকে ১১ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও বাধা দেয়ার অপরাধে দুজনকে যথাক্রমে ৭ দিন ও ৪ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি এলাকার ভোটার আজিজুল হক বলেন, ‘এমন ভোট আগে দেকিনি। আগের ভোটগুলোতে সেন্টারে যেতে বাধা দিত, ভয়ও লাগত। এবার  পুলিশ যেরাম করে (যেভাবে) ঘোরাঘুরি করছে, তাতে ভোট ভালোই হবে বলে মনে হচ্ছি। আমিও ভালোভাবে ভোট দিতে পারিচি।’ জীবননগর থানা মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোট দিতে আসা কাদির সুমন নামের এক যুবক বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ খুবই ভালো। পুলিশ যেভাবে টহল দিচ্ছে, তাতে করে একটি সুন্দর নির্বাচন হবে বলে মনে করছি। আমরা চাই, এভাবেই যেন আমরা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারি।’

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, ‘আমরা সমন্বিত মাধ্যমে কাজ করছি। আমাদের সাথে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আছে, তারা তথ্য দিচ্ছে। পুলিশ বিভিন্ন কেন্দ্র ছাড়াও মোবাইল ও স্ট্রাইকিং পার্টিতে আছে। আমরা নিরাপত্তা পরিকল্পনা এমনভাবে সাজিয়েছি, কোথাও কোনো ছোটখাটো কিছু হলে তাৎক্ষণিক আমাদের নজরে আসছে। এবং এই নজরে আসার সাথে সাথেই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি।’