ইপেপার । আজসোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোটের মাঠে আ.লীগের সঙ্গে আ.লীগের লড়াই

ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আজ

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৩:৫৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

আজ বুধবার প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে সরকার সমর্থক ছাড়া বিরোধী শিবিরের কোনো প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে। বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচন বর্জন করলেও আওয়ামী লীগের জোটভুক্ত কোনো শরীক দলও এই নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি। ফলে নিরুত্তাপ নির্বাচনে ‘যোগ্য প্রাথী’ সংকট দেখছেন ভোটাররা। এদিকে, জেলা নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্যমতে, ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ২৫৬টি। এরমধ্যে ৭৭টি কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সদরে ১৬৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি ও কালীগঞ্জে ৯১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৭টি কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় পরিচয় ও নৌকা প্রতীক না থাকলেও মূলত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রবিন নেতা জে এম রশীদুল আলম, দলের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মাসুম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ছরওয়ার খাঁন সউদ, যুবলীগ নেতা নুর এ আলম বিপ্লব ও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এস এম আনিচুর রহমান খোকা প্রার্থী হয়েছেন। এই নির্বাচনে জাসাদ, বাসদ, কল্যাণ পার্টি, জেপি, জাতীয় পার্টি ও ওয়ার্কাস পার্টিসহ আওয়ামী লীগের শরীক দলগুলো কোনো প্রার্থী দেয়নি। ফলে নির্বাচনে নিজ দলের প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে। সদর উপজেলায় জে এম রশীদুল আলমের সঙ্গে মিজানুর রহমান মাসুমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করেন।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৬৫টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯০ হাজার ৯২৮। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ জন ও মহিলা ভোটার রয়েছে এক লাখ ৯৫ হাজার ৫১৯। এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনেও সরকারের শরীক বা সরকার বিরোধী কোনো দল অংশগ্রহণ করেনি। ফলে নিজ দলের প্রার্থীরাই মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কালীগঞ্জে নিজ দলের প্রার্থীদের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন থেকে ইতিমধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু সরে দাঁড়ানোর ফলে সেখানকার ভোট অনেকটাই নিরুত্তাপ হয়ে পড়েছে।

নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের চার অনুসারীসহ পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শিবলী নোমানী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান মতির মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে জানা গেছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে আরো দুই প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- কাস্টভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শমশের ও জাতীয় শ্রমিক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সহসভাপতি ইমদাদুল হক সোহাগ। কালীগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৯১টি। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯২৪। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২৪ হাজার ৩২৮ জন। মহিলা ভোটার রয়েছে এক লাখ ২০ হাজার ৫৫৩। ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলেই প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে গেছে। তিনি বলেন, ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রেগুলো প্রশাসনের নজরদারিতে রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ভোটের মাঠে আ.লীগের সঙ্গে আ.লীগের লড়াই

ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আজ

আপলোড টাইম : ০৩:৫৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

আজ বুধবার প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে সরকার সমর্থক ছাড়া বিরোধী শিবিরের কোনো প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে। বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচন বর্জন করলেও আওয়ামী লীগের জোটভুক্ত কোনো শরীক দলও এই নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি। ফলে নিরুত্তাপ নির্বাচনে ‘যোগ্য প্রাথী’ সংকট দেখছেন ভোটাররা। এদিকে, জেলা নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্যমতে, ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ২৫৬টি। এরমধ্যে ৭৭টি কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সদরে ১৬৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি ও কালীগঞ্জে ৯১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৭টি কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় পরিচয় ও নৌকা প্রতীক না থাকলেও মূলত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রবিন নেতা জে এম রশীদুল আলম, দলের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মাসুম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ছরওয়ার খাঁন সউদ, যুবলীগ নেতা নুর এ আলম বিপ্লব ও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এস এম আনিচুর রহমান খোকা প্রার্থী হয়েছেন। এই নির্বাচনে জাসাদ, বাসদ, কল্যাণ পার্টি, জেপি, জাতীয় পার্টি ও ওয়ার্কাস পার্টিসহ আওয়ামী লীগের শরীক দলগুলো কোনো প্রার্থী দেয়নি। ফলে নির্বাচনে নিজ দলের প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে। সদর উপজেলায় জে এম রশীদুল আলমের সঙ্গে মিজানুর রহমান মাসুমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করেন।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৬৫টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯০ হাজার ৯২৮। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ জন ও মহিলা ভোটার রয়েছে এক লাখ ৯৫ হাজার ৫১৯। এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনেও সরকারের শরীক বা সরকার বিরোধী কোনো দল অংশগ্রহণ করেনি। ফলে নিজ দলের প্রার্থীরাই মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কালীগঞ্জে নিজ দলের প্রার্থীদের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন থেকে ইতিমধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু সরে দাঁড়ানোর ফলে সেখানকার ভোট অনেকটাই নিরুত্তাপ হয়ে পড়েছে।

নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের চার অনুসারীসহ পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শিবলী নোমানী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান মতির মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে জানা গেছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে আরো দুই প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- কাস্টভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শমশের ও জাতীয় শ্রমিক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সহসভাপতি ইমদাদুল হক সোহাগ। কালীগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৯১টি। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯২৪। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২৪ হাজার ৩২৮ জন। মহিলা ভোটার রয়েছে এক লাখ ২০ হাজার ৫৫৩। ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলেই প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে গেছে। তিনি বলেন, ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রেগুলো প্রশাসনের নজরদারিতে রয়েছে।