ইপেপার । আজসোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রচারণার শেষ দিনে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা

দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামীকাল

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১২:১৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

প্রথম ধাপে আগামীকাল বুধবার (৮ মে) দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী গতকাল সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ছিল প্রচার-প্রচারণার শেষ সময়। এদিন ভোটের মাঠ চষে বেড়ান প্রার্থীরা। ঘোরেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। শেষ দিনে মিছিল, উঠান বৈঠক ও লিফলেট বিতরণসহ রাতে-দিনে জমজমাট প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনও ইতিমধ্যে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আজ কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে নির্বাচনী সরঞ্জাম। তবে ব্যালট পেপার যাবে ভোটের দিন সকালে। এদিকে, যারা ভোট দিতে যাবেন, তার ভালো পরিবেশ চান। তবে বিএনপি-জামায়াত সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে যাবেন না বলে জানিয়েছেন। আর সাধারণ ভোটাররা কেন্দ্রে আসবেন কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
এবার দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলী মুনছুর বাবু (আনারস), এস এ এম জাকারিয়া আলম (মোটরসাইকেল) ও অ্যাড. আবু তালেব (ঘোড়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাহিদা খাতুন (কলস) ও তানিয়া খাতুন (ফুটবল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শফিউল কবীর ইউসুব নির্বাচিত হয়েছেন।
আর জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান (কাপ-পিরিচ) ও এস কে লিটন (আনারস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈসা নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. আয়েশা সুলতানা লাকী ও রেনুকা আক্তার রিতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মেজর আহমেদ জানান, জীবননগর উপজেলায় এবার মোট ভোট কেন্দ্র ৬২টি। এই উপজেলায় এবার ১ লাখ ৫৩ হাজার ২১৫ জন ভোটার রয়েছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭৬ হাজার ৯১৫ জন এবং নারী ৭৬ হাজার ৩০০ জন।
এদিকে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আর নির্বাচন উপলক্ষে দুটি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। একটি গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী প্রথম ধাপের ৮ মে দামুড়হুদা ও জীবননগর এবং ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অস্ত্র আইন ১৮৭৮-এর ধারা ১৭ (ক) (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণ পূর্ববর্তী ৭ দিন এবং ভোটগ্রহণের পরবর্তী ৭ দিন লাইসেন্সধারী অস্ত্রসহ চলাচল, অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এ আদেশ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তিতে ৭ মে দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৮ মে দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। আর ৬ মে দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৯ মে দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক, জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য চিকিৎসা ও অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী যানবাহন, আত্মীয়-স্বজনের জন্য বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমান বন্দর হতে যাত্রী বা আত্মীয়-স্বজনসহ নিজ বাসস্থানে অথবা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকেট বা অনুরূপ প্রমাণ প্রদর্শন) এবং দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী অথবা দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যেকোনো যানবাহন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য একটি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট (যথাযথ নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে) এর জন্য একটি গাড়ি (জিপ, কার, মাইক্রোবাস ইত্যাদি ছোট আকৃতির যানবাহন) রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন ও গাড়িতে স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি প্রদান, সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি প্রদান; এবং নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারী অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি থাকলে চলাচল করতে পারবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রচারণার শেষ দিনে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা

দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামীকাল

আপলোড টাইম : ১২:১৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

প্রথম ধাপে আগামীকাল বুধবার (৮ মে) দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী গতকাল সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ছিল প্রচার-প্রচারণার শেষ সময়। এদিন ভোটের মাঠ চষে বেড়ান প্রার্থীরা। ঘোরেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। শেষ দিনে মিছিল, উঠান বৈঠক ও লিফলেট বিতরণসহ রাতে-দিনে জমজমাট প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনও ইতিমধ্যে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আজ কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে নির্বাচনী সরঞ্জাম। তবে ব্যালট পেপার যাবে ভোটের দিন সকালে। এদিকে, যারা ভোট দিতে যাবেন, তার ভালো পরিবেশ চান। তবে বিএনপি-জামায়াত সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে যাবেন না বলে জানিয়েছেন। আর সাধারণ ভোটাররা কেন্দ্রে আসবেন কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
এবার দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলী মুনছুর বাবু (আনারস), এস এ এম জাকারিয়া আলম (মোটরসাইকেল) ও অ্যাড. আবু তালেব (ঘোড়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাহিদা খাতুন (কলস) ও তানিয়া খাতুন (ফুটবল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শফিউল কবীর ইউসুব নির্বাচিত হয়েছেন।
আর জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান (কাপ-পিরিচ) ও এস কে লিটন (আনারস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈসা নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. আয়েশা সুলতানা লাকী ও রেনুকা আক্তার রিতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মেজর আহমেদ জানান, জীবননগর উপজেলায় এবার মোট ভোট কেন্দ্র ৬২টি। এই উপজেলায় এবার ১ লাখ ৫৩ হাজার ২১৫ জন ভোটার রয়েছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭৬ হাজার ৯১৫ জন এবং নারী ৭৬ হাজার ৩০০ জন।
এদিকে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আর নির্বাচন উপলক্ষে দুটি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। একটি গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী প্রথম ধাপের ৮ মে দামুড়হুদা ও জীবননগর এবং ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অস্ত্র আইন ১৮৭৮-এর ধারা ১৭ (ক) (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণ পূর্ববর্তী ৭ দিন এবং ভোটগ্রহণের পরবর্তী ৭ দিন লাইসেন্সধারী অস্ত্রসহ চলাচল, অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এ আদেশ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তিতে ৭ মে দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৮ মে দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। আর ৬ মে দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৯ মে দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক, জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য চিকিৎসা ও অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী যানবাহন, আত্মীয়-স্বজনের জন্য বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমান বন্দর হতে যাত্রী বা আত্মীয়-স্বজনসহ নিজ বাসস্থানে অথবা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকেট বা অনুরূপ প্রমাণ প্রদর্শন) এবং দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী অথবা দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যেকোনো যানবাহন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য একটি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট (যথাযথ নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে) এর জন্য একটি গাড়ি (জিপ, কার, মাইক্রোবাস ইত্যাদি ছোট আকৃতির যানবাহন) রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন ও গাড়িতে স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি প্রদান, সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি প্রদান; এবং নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারী অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি থাকলে চলাচল করতে পারবে।