ইপেপার । আজসোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদা ও জীবননগরে ভোটকেন্দ্রগুলোতে সুনসান নীরবতা

ভোটার উপস্থিতি ও আগ্রহ দুটোই কম

সমীকরণ প্রতিবেদন:
  • আপলোড টাইম : ০৮:০০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; module: a; hw-remosaic: 0; touch: (0.52685183, 0.52685183); modeInfo: ; sceneMode: Hdr; cct_value: 0; AI_Scene: (6, -1); aec_lux: 77.74314; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;

কোনো ধরনের সংঘাত ও সহিংসতা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এদিন ভোটার উপস্থিতি ও আগ্রহ দুটোই কম লক্ষ্য করা গেছে। অনেকটাই সুনসান নীরবতায় হয়েছে ভোট গ্রহণ। তবে সরব ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। তারা কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নিয়ে ছিলেন। সাধারণ ভোটারদের দাবি, পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে নির্বাচন বা ভোট নিয়ে তারা আগ্রহ হারিয়েছেন। অনেকে আবার বলছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্যান্য বৃহৎ রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় তাদের সমর্থকদের মধ্যে ভোট নিয়ে যেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি, তেমনি ভোটারদের মধ্যে তেমন একটা সাড়া ছিল না।

নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দামুড়হুদা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮২২ জন। এর মধ্যে ভোট পোল হয়েছে ৬৭ হাজার ৯৮৯। যা প্রদত্ত ভোটের মাত্র ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। অপর দিকে, জীবননগর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৩৬ জন। ভোট পড়েছে ৫৭ হাজার ৮৯০টি। শতকরা হিসেবে যা ৩৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।

এই দুই উপজেলায় নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে, এমন আশা থাকলেও উপস্থিতি ছিল নগন্য। অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রেই ভোটারের লাইন চোখে পড়েনি। ভোট গ্রহণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বসে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। সড়কেও ছিল না তেমন সাধারণ মানুষের যাতায়াত বা আনাগোনা।

দর্শনার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের চণ্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের আগে সেখানকার সড়ক, অলি-গলিতে দেখা যায় মানুষের ভিড়। তাদের সবাই নিজেদের পছন্দের প্রতীকের অনুসারী কর্মী-সমর্থক। এরপর ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে দেখা যায়, ভোটারের কোনো লাইন নেই। মাঝে মধ্যে দুয়েকজন আসছেন। ৩০২৯ জন ভোটারের এ কেন্দ্রে সকাল ১০টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টায় ভোট পোল হয় মাত্র ২ শতাংশ। দুপুর ১২টায় ৭ শতাংশ ও বেলা দুটোই ১১ শতাংশ। দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ২৩৬ জন ভোটারের মধ্যে বেলা ২টা পর্যন্ত ভোট পোল হয় মাত্র ১২ শতাংশ। কুড়ুলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ২৯ জন। এ কেন্দ্রে মোট ভোট পোল হয়েছে ১৪ শতাংশ। জীবননগর উপজেলার উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে  দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পোল হয়েছিল ১৪ শতাংশ।

দর্শনা কেরুজ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় এক প্রবাসী ভোটার বলেন, ‘আমি প্রবাসে থাকি। জীবনের এই প্রথম ভোট দিয়েছি। মনে করেছিলাম সময় লাগবে। লোকজন খুব বেশি ছিল না, আসামাত্র ভোট দিতে পেরেছি। দুই মিনিটও সময়ও লাগেনি।’ জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক নারী ভোটার জানান, ‘দীর্ঘ লাইন থাকবে ভেবে বাড়ির কাজ-কর্ম গুছিয়ে ভোট দিতে এসেছি। এখন দেখছি কেন্দ্র একদম ফাঁকা, কেউই নেই। আসলাম আর ভোট দিয়ে চলে গেলাম।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদা ও জীবননগরে ভোটকেন্দ্রগুলোতে সুনসান নীরবতা

ভোটার উপস্থিতি ও আগ্রহ দুটোই কম

আপলোড টাইম : ০৮:০০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

কোনো ধরনের সংঘাত ও সহিংসতা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এদিন ভোটার উপস্থিতি ও আগ্রহ দুটোই কম লক্ষ্য করা গেছে। অনেকটাই সুনসান নীরবতায় হয়েছে ভোট গ্রহণ। তবে সরব ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। তারা কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নিয়ে ছিলেন। সাধারণ ভোটারদের দাবি, পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে নির্বাচন বা ভোট নিয়ে তারা আগ্রহ হারিয়েছেন। অনেকে আবার বলছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্যান্য বৃহৎ রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় তাদের সমর্থকদের মধ্যে ভোট নিয়ে যেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি, তেমনি ভোটারদের মধ্যে তেমন একটা সাড়া ছিল না।

নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দামুড়হুদা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮২২ জন। এর মধ্যে ভোট পোল হয়েছে ৬৭ হাজার ৯৮৯। যা প্রদত্ত ভোটের মাত্র ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। অপর দিকে, জীবননগর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৩৬ জন। ভোট পড়েছে ৫৭ হাজার ৮৯০টি। শতকরা হিসেবে যা ৩৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।

এই দুই উপজেলায় নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে, এমন আশা থাকলেও উপস্থিতি ছিল নগন্য। অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রেই ভোটারের লাইন চোখে পড়েনি। ভোট গ্রহণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বসে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। সড়কেও ছিল না তেমন সাধারণ মানুষের যাতায়াত বা আনাগোনা।

দর্শনার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের চণ্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের আগে সেখানকার সড়ক, অলি-গলিতে দেখা যায় মানুষের ভিড়। তাদের সবাই নিজেদের পছন্দের প্রতীকের অনুসারী কর্মী-সমর্থক। এরপর ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে দেখা যায়, ভোটারের কোনো লাইন নেই। মাঝে মধ্যে দুয়েকজন আসছেন। ৩০২৯ জন ভোটারের এ কেন্দ্রে সকাল ১০টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টায় ভোট পোল হয় মাত্র ২ শতাংশ। দুপুর ১২টায় ৭ শতাংশ ও বেলা দুটোই ১১ শতাংশ। দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ২৩৬ জন ভোটারের মধ্যে বেলা ২টা পর্যন্ত ভোট পোল হয় মাত্র ১২ শতাংশ। কুড়ুলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ২৯ জন। এ কেন্দ্রে মোট ভোট পোল হয়েছে ১৪ শতাংশ। জীবননগর উপজেলার উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে  দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পোল হয়েছিল ১৪ শতাংশ।

দর্শনা কেরুজ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় এক প্রবাসী ভোটার বলেন, ‘আমি প্রবাসে থাকি। জীবনের এই প্রথম ভোট দিয়েছি। মনে করেছিলাম সময় লাগবে। লোকজন খুব বেশি ছিল না, আসামাত্র ভোট দিতে পেরেছি। দুই মিনিটও সময়ও লাগেনি।’ জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক নারী ভোটার জানান, ‘দীর্ঘ লাইন থাকবে ভেবে বাড়ির কাজ-কর্ম গুছিয়ে ভোট দিতে এসেছি। এখন দেখছি কেন্দ্র একদম ফাঁকা, কেউই নেই। আসলাম আর ভোট দিয়ে চলে গেলাম।’