ইপেপার । আজশুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র রোদ-গরম উপেক্ষা করে চুয়াডাঙ্গায় জুমার নামাজে মুসল্লিদের ঢল

তাপদাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টি প্রার্থনায় বিশেষ মোনাজাত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৮:২২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় টানা দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ঘরে কিংবা বাইরে সব জায়গায় গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। একই অবস্থা প্রাণিকূলেও। কাঙ্খিত বৃষ্টির জন্য চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে ইস্তিস্কার নামাজও আদায় করছেন মুসল্লিরা। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজেও জেলার ছোট-বড় মসজিদগুলোতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। প্রচণ্ড গরমে খরতাপ মাথায় নিয়ে মুসল্লিরা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নেয়ামতের আশায় নামাজের কাতারে দাঁড়ান। নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন খতিব-মুসল্লিরা।

চুয়াডাঙ্গা কোর্ট জামে মসজিদে দেখা গেছে, মসজিদের নিচ তলা, বারান্দা, এমনকি মসজিদের দ্বিতীয় তলায়ও নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। শতশত মানুষ সারিতে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে মোনাজাতে তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে। একই চিত্র ছিল চুয়াডাঙ্গা জেলা মডেল মসজিদ, পৌর মডেল মসজিদ, বড় বাজার জামে মসজিদ, থানা মসজিদ, পৌরসভা জামে মসজিদ ও জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান জামে মসজিদে।

চুয়াডাঙ্গা থানা মসজিদে নামাজ আদায় করেন মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, ঈদের পর থেকে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুধুমাত্র আমাদের জেলা নয়, দেশের সবখানেই প্রখর রোদ ও গরমে মানুষসহ প্রাণিকূল বিপাকে রয়েছে। নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।’

ব্যবসায়ী ওসমান উল্লাহ বলেন, ‘আমি জান্নাতুল মাওলা মসজিদে নামাজ আদায় করেছি। তীব্র রোদেও মসজিদে মুসল্লির অনেক ভিড় ছিল। নামাজ শেষে অপরাধ মার্জনার জন্য দোয়া করা হয়। অসহ্য গরম থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর রহমত ও বৃষ্টির জন্য দোয়া করেছেন ইমাম। জানি না কবে বৃষ্টি হবে, কবে এই গজব থেকে রক্ষা পাবো।’

শুধুমাত্র বৃষ্টি চাওয়া নয়, নামাজ শেষে সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহের জন্য এবং বিশ্ব শান্তির জন্য দোয়া করা হয়। এতে সবার গুনাহ মাফ, আখিরাতে মুক্তি, দেশ ও মুসলিম জাতির শান্তি কামনা করেন মুসুল্লিরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

তীব্র রোদ-গরম উপেক্ষা করে চুয়াডাঙ্গায় জুমার নামাজে মুসল্লিদের ঢল

তাপদাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টি প্রার্থনায় বিশেষ মোনাজাত

আপলোড টাইম : ০৮:২২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় টানা দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ঘরে কিংবা বাইরে সব জায়গায় গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। একই অবস্থা প্রাণিকূলেও। কাঙ্খিত বৃষ্টির জন্য চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে ইস্তিস্কার নামাজও আদায় করছেন মুসল্লিরা। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজেও জেলার ছোট-বড় মসজিদগুলোতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। প্রচণ্ড গরমে খরতাপ মাথায় নিয়ে মুসল্লিরা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নেয়ামতের আশায় নামাজের কাতারে দাঁড়ান। নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন খতিব-মুসল্লিরা।

চুয়াডাঙ্গা কোর্ট জামে মসজিদে দেখা গেছে, মসজিদের নিচ তলা, বারান্দা, এমনকি মসজিদের দ্বিতীয় তলায়ও নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। শতশত মানুষ সারিতে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে মোনাজাতে তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে। একই চিত্র ছিল চুয়াডাঙ্গা জেলা মডেল মসজিদ, পৌর মডেল মসজিদ, বড় বাজার জামে মসজিদ, থানা মসজিদ, পৌরসভা জামে মসজিদ ও জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান জামে মসজিদে।

চুয়াডাঙ্গা থানা মসজিদে নামাজ আদায় করেন মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, ঈদের পর থেকে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুধুমাত্র আমাদের জেলা নয়, দেশের সবখানেই প্রখর রোদ ও গরমে মানুষসহ প্রাণিকূল বিপাকে রয়েছে। নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।’

ব্যবসায়ী ওসমান উল্লাহ বলেন, ‘আমি জান্নাতুল মাওলা মসজিদে নামাজ আদায় করেছি। তীব্র রোদেও মসজিদে মুসল্লির অনেক ভিড় ছিল। নামাজ শেষে অপরাধ মার্জনার জন্য দোয়া করা হয়। অসহ্য গরম থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর রহমত ও বৃষ্টির জন্য দোয়া করেছেন ইমাম। জানি না কবে বৃষ্টি হবে, কবে এই গজব থেকে রক্ষা পাবো।’

শুধুমাত্র বৃষ্টি চাওয়া নয়, নামাজ শেষে সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহের জন্য এবং বিশ্ব শান্তির জন্য দোয়া করা হয়। এতে সবার গুনাহ মাফ, আখিরাতে মুক্তি, দেশ ও মুসলিম জাতির শান্তি কামনা করেন মুসুল্লিরা।