ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের কলামানখালি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুটি সামাজিক দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কলোমনখালি গ্রামে স্থানীয় বিএনপি কর্মী নাইম ও ইঞ্জিনিয়ার আসাদ সমর্থকদের মধ্যে সামাজিক আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জেল ধরে গতকাল সোমবার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় লাঠি-সোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে মানিক জোয়াদ্দারের ছেলে বিসারত জোয়াদ্দার (৬৮) ও হাসেম জোয়াদ্দার (৭০), ওলিয়ার মুন্সির ছেলে সুরুজ (২৫), রজব মুন্সির ছেলে ইয়ালিক (৪৫), জাফর জোয়াদ্দারের ছেলে নাইম জদ্দার ও সৈয়দ আলী মোল্যার ছেলে গোলাম রসুলের (৬০) পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
সংঘর্ষের বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ জানান, এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা নেই। এটা সামাজিক বিরোধ। উভয় গ্রুপের দলনেতারা বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকলেও তারা দুটি সামাজিক দলের নেতৃত্ব দেন। তাই এই সংঘর্ষ কোনোক্রমেই বিএনপি'র মধ্যে নয়।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুলাহ আল মামুন জানান, খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানা-পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে যাতে আর কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটে।
ঝিনাইদহ অফিস