
জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার বাড়ান্দী গ্রামের এক প্রান্তিক চাষীর এক বিঘা জমির ফলন্ত লাউ গাছ কেটে সাবাড় করেছে প্রতিপক্ষরা। ঘটনাটি গত সোমবার গভীর রাতে সংঘটিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ চাষীর অভিযোগ পুর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা রাতের আধারে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এলাকাবাসী সুত্র জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পশ্চিম বাড়ান্দী গ্রামের মৃত হাসমত আলীর ছেলে প্রান্তিক চাষী আবু তালেব (৪৮) বিভিন্ন মওসুমে সবজির আবাদ করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনেন। তার এই উন্নতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম এই ক্ষতিসাধন করেছে বলে আবু তালেবের অভিযোগ। আবু তালেব আরো অভিযোগ করে বলেন ইতিপুর্বে সে আমার ক্ষেতের মরিচ, লাউ ও কপির চারা গাছ রাতের আধারে কেটে দিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছিল। ইব্রাহিম ও তার আত্মীয় একই গ্রামের মৃত হযরত আলী মিঝির ছেলে মোবারক মিঝি আমাকে নিঃস্ব করতে একইভাবে গত সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ান্দী মাঠে থাকা আমার দেড় বিঘা জমির ফলন্ত লাউ গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। সবেমাত্র একটি চালান ঢাকায় পাঠিয়েছি এবং মঙ্গলবার আর একটি চালান ঢাকায় পাঠানোর কথা ছিল। আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, ইব্রাহিম ও মোবারক মিঝি পরস্পর মিলে আমার লাউ ক্ষেত সাবাড় করেছে। আমার ক্ষেতের লাউ গাছ কেটে দিয়ে তারা প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। এই ঘটনার কয়েক দিন আগে তারা আমাকে রায়পুর বাজারে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেছিল তোর মাঠে ঘাটের চাষাবাদ বন্ধ করে দেয়া হবে। আমি এ ঘটনায় একটি মামলা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ ব্যাপারে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর্জা তাহাজ্জুত হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনাটি দু:খজনক এবং ক্ষমার অযোগ্য। ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার। আমার পরিষদের সদস্যরা মিলে ঘটনাস্থলে যাবো। এ ব্যাপারে ইব্রাহিমের সাথে কথা বলার জন্য চেষ্ঠা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সমীকরণ প্রতিবেদন