মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

সড়কে জলাবদ্ধতা, বসত-বাড়িতে উঠেছে পানি

  • আপলোড তারিখঃ ০৫-১০-২০২৪ ইং
সড়কে জলাবদ্ধতা, বসত-বাড়িতে উঠেছে পানি

চুয়াডাঙ্গায় দুই দিনে ৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে শহর ও গ্রামাঞ্চলের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত জেলায় মোট ৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এদিকে, থেমে থেমে হওয়া দুদিনের এ বৃষ্টিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টির পাশাপাশি সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যহত হতে দেখা যায়।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, গত দুদিনে চুয়াডাঙ্গায় মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭৩ মিলিমিটার। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ১৯ মিলিমিটার ও এর আগের দিন ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। তিনি বলেন, রোববার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি অব্যহত থাকতে পরে। এদিন দুপুরের পর অথবা বিকেল থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে।

এদিকে, বৃষ্টির কারণে চুয়াডাঙ্গার শহরতলীর শান্তিপাড়া, সদর উপজেলার নবীননগরসহ দর্শনা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার অনেক রাস্তা পানিতে ডুবে আছে। যা এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।

শহরতলীর শান্তিপাড়ার বাসিন্দা মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকাটি নিচু হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষাকালে উঁচু এলাকার পানি জমে চলাচলের পথে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমাদের বাড়ির মধ্যে ও রাস্তায় হাঁটু সমান পানি জমে আছে, ঘরের মধ্যেও পানি উঠে পড়েছে। এতে বাড়িতে বসবাস করা যেমন কঠিন হচ্ছে, একই সঙ্গে পরিবার নিয়ে সাপ, পোকা মাকড়ের ভয়ে থাকতে হচ্ছে।’ তিনি বিষয়টি সমাধান করে ওই এলাকার মানুষের জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।

এদিকে, শুধু শহরেই নয়, বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে জেলা ও এর বিভিন্ন উপজেলায়। দর্শনা পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিকল্পিত না হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে দর্শনা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামপুর গ্রামের মল্লিক পাড়ার একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি সম্পূর্ণ ডুবে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই শ্যামপুর এলাকার রাস্তাটিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। যা ওই এলাকার অন্তত ৫০টি পরিবারের চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি করে। স্থানীয় মক্তি মল্লিক, রেণ্টু বিশ^স, বরকত মল্লিক, কুদ্দুস মল্লিক ও তরিকুল মল্লিক তাদের ভোগান্তির বিষয়ে বলেন, প্রায় সময় এ রাস্তটিতে হাঁটু পানি জমে থাকে। এছাড়া দর্শনা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের করিমপুর দাসপাড়ায় একমাত্র চলাচলের রাস্তায় পানি জমে থাকায় প্রায় ৭২টি পরিবারকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

দর্শনা ২ নম্বর ওয়ার্ডের কেরুজ শ্রমিক নেতা মাসুদের বাড়ির পাশে সড়কে পানি জমে থাকায় ওই এলাকার অন্তত ১০-১২টি পারবার ও বেশ কিছু এনজিও অফিসের কর্মকর্তাদের চলাচল প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া দর্শনা-বাসস্ট্যান্ড মহাসড়কের পাশে আজিমপুর-মোহম্মদপুর নিচু এলাকায় বর্ষা মৌসুমে ২০-২৫টি বাড়িতে প্রায় সবসময় পানি জমে থাকে। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে পানি নিষ্কাশনে পৌর প্রশাসক যেন কার্যকরি পদক্ষেপ নেন।



কমেন্ট বক্স
notebook

দেশের কোনো নাগরিকেরই এখন দুটি এনআইডি কার্ড নেই: ডিজি