ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহের হলিধানীতে জমি ও বাড়ি নিয়ে ধন্দ

প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ:
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের হলিধানী গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ১২ বছর পূর্বে আশ্রয় নেন রানা নামের এক যুবক। এরপর থেকে তিনি ওই বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন। এদিকে, একই গ্রামের এমদাদুল হক ওই বাড়ি ও জমি নিজের বলে দাবি করছেন। এক জমির দুই দাবিদার হওয়ায় ধন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য দুই পক্ষ ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের সহায়তা নিলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

এমদাদুল হক জানান, ‘হলিধানী ইউনিয়নের ৪৫ নম্বর মৌজার ৫১৮ নম্বর দাগে আমার ৬ শতক একটি জমির পাশে রানার দাদি বসবাস করতেন। কিন্তু তিনি ওই জমি ১৯৯৯ সালের দিকে অন্যত্র বিক্রি করে দেন। এদিকে, কর্মসূত্রে ঢাকায় বসবাস করা রানা চাকরি ছেড়ে ১২ বছর পূর্বে হলিধানী গ্রামে আসে। সে সময় আমার জমির পরিত্যক্ত বাড়িটিতে রানাকে অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য দিই। রানা বাড়িটি মেরামত করে বসবাস শুরু করে। এখন ওই বাড়ি ভেঙে সেখানে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার জন্য রানাকে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলি। কিন্তু রানা জমি ও বাড়ি তার দাদির বলে দাবি করছে। জমির প্রকৃত মালিক আমি, রানাকে আশ্রয় দিয়ে এখন বিপাকে পড়েছি। বিষয়টি মীমাংসার জন্য থানা পুলিশের দারস্ত হয়েছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রানা বলেন, ‘এই জমি আমার দাদির। সেই সূত্রে আমি জমির ওয়ারিশ। দাদির জমি হওয়ায় সেখানে বাড়ি করে বসবাস করছি। কিন্তু ওই জমিতে বসবাস শুরু করার পর থেকে কিছু লোক বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করছে।’ জমির কাগজপত্র ও ৫১৮ নম্বর দাগে তার পরিবারের কোনো জমি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমি জানি না। তবে আমার কাছে জমির কিছু কাগজপত্র আছে। দাদির ফারাজ ভাগ করলে সব জায়গাতেই ওয়ারিশ হিসেবে আমি কিছু জমি পাবো।’

এ বিষয়ে স্থানীয় কাতলামারি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) বনি-আমিন বলেন, ওই জমি নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে দুই পক্ষকে নিয়ে থানায় একবার বসা হয়েছে। ওই জমি রানা নিজের বলে দাবি করলেও তেমন কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে সঠিক কাগজপত্র নিয়ে পুনরায় থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহের হলিধানীতে জমি ও বাড়ি নিয়ে ধন্দ

আপলোড টাইম : ০৭:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ঝিনাইদহের হলিধানী গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ১২ বছর পূর্বে আশ্রয় নেন রানা নামের এক যুবক। এরপর থেকে তিনি ওই বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন। এদিকে, একই গ্রামের এমদাদুল হক ওই বাড়ি ও জমি নিজের বলে দাবি করছেন। এক জমির দুই দাবিদার হওয়ায় ধন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য দুই পক্ষ ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের সহায়তা নিলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

এমদাদুল হক জানান, ‘হলিধানী ইউনিয়নের ৪৫ নম্বর মৌজার ৫১৮ নম্বর দাগে আমার ৬ শতক একটি জমির পাশে রানার দাদি বসবাস করতেন। কিন্তু তিনি ওই জমি ১৯৯৯ সালের দিকে অন্যত্র বিক্রি করে দেন। এদিকে, কর্মসূত্রে ঢাকায় বসবাস করা রানা চাকরি ছেড়ে ১২ বছর পূর্বে হলিধানী গ্রামে আসে। সে সময় আমার জমির পরিত্যক্ত বাড়িটিতে রানাকে অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য দিই। রানা বাড়িটি মেরামত করে বসবাস শুরু করে। এখন ওই বাড়ি ভেঙে সেখানে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার জন্য রানাকে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলি। কিন্তু রানা জমি ও বাড়ি তার দাদির বলে দাবি করছে। জমির প্রকৃত মালিক আমি, রানাকে আশ্রয় দিয়ে এখন বিপাকে পড়েছি। বিষয়টি মীমাংসার জন্য থানা পুলিশের দারস্ত হয়েছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রানা বলেন, ‘এই জমি আমার দাদির। সেই সূত্রে আমি জমির ওয়ারিশ। দাদির জমি হওয়ায় সেখানে বাড়ি করে বসবাস করছি। কিন্তু ওই জমিতে বসবাস শুরু করার পর থেকে কিছু লোক বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করছে।’ জমির কাগজপত্র ও ৫১৮ নম্বর দাগে তার পরিবারের কোনো জমি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমি জানি না। তবে আমার কাছে জমির কিছু কাগজপত্র আছে। দাদির ফারাজ ভাগ করলে সব জায়গাতেই ওয়ারিশ হিসেবে আমি কিছু জমি পাবো।’

এ বিষয়ে স্থানীয় কাতলামারি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) বনি-আমিন বলেন, ওই জমি নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে দুই পক্ষকে নিয়ে থানায় একবার বসা হয়েছে। ওই জমি রানা নিজের বলে দাবি করলেও তেমন কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে সঠিক কাগজপত্র নিয়ে পুনরায় থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে।