ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনী ও সাগান্নায় বৃষ্টি প্রার্থনায় নামাজ আদায়

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৭:৪২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

তীব্র দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে মেহেরপুরের গাংনী ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠ ও সাগান্নার উত্তর নারায়ণ ওয়াজির আলী স্কুলমাঠে এ নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে মুসল্লিরা বিশেষ মোনাজাতে বৃষ্টি প্রার্থনা করেন।

গাংনী:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। কমছেই না তাপমাত্রার পারদ, উল্টো দিন দিন বাড়ছে তাপদাহ। বৃষ্টির আশায় প্রহর গুণছে মানুষ। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি কামনায় গাংনীতে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত নামাজে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন বয়সী মুসল্লি ও আলেম-ওলামারা। দুই রাকাত নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করে গুনাহ মাফের জন্য তওবা পড়ানো হয় মুসল্লিদের। এরপর বৃষ্টি চেয়ে দোয়া করা হয়। এসময় মুসল্লিরা কেঁদে কেঁদে আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে গাংনী তথা পুরো বাংলাদেশে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন গাংনী দারুস সালাম জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
নামাজ শেষে ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নাত। সালাতুল ইস্তিস্কার অর্থাৎ পানির জন্য দোয়া করা। তিনি আরও বলেন, রাসুল (সা.) এই নামাজের সময় তার দু-হাত উল্টে মোনাজাত করতেন। তার মানে তিনি পরিস্থিতির পরিবর্তন চাচ্ছেন।

ডাকবাংলা:
ঝিনাইদ সদরের সাগান্নার উত্তর নারায়ণপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাতটায় উত্তর নারায়ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন উত্তর নারায়ণপুর মডেল দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হজরত মাওলানা মোহাম্মদ ইকরামুল হক। তীব্র গরমে সূর্য্যরে তাপ উপেক্ষা করে নামাজে মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা। নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লি আরশাদ আলী বলেন, আমরা এই তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করে এই নামাজ আদায় করেছি। কয়েক দিনের টানা তাপদাহে পুড়ছে ঝিনাইদহসহ সারা দেশ। আর এই তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামণা করে মোনাজাত করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গাংনী ও সাগান্নায় বৃষ্টি প্রার্থনায় নামাজ আদায়

আপলোড টাইম : ০৭:৪২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

তীব্র দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে মেহেরপুরের গাংনী ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠ ও সাগান্নার উত্তর নারায়ণ ওয়াজির আলী স্কুলমাঠে এ নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে মুসল্লিরা বিশেষ মোনাজাতে বৃষ্টি প্রার্থনা করেন।

গাংনী:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। কমছেই না তাপমাত্রার পারদ, উল্টো দিন দিন বাড়ছে তাপদাহ। বৃষ্টির আশায় প্রহর গুণছে মানুষ। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি কামনায় গাংনীতে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত নামাজে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন বয়সী মুসল্লি ও আলেম-ওলামারা। দুই রাকাত নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করে গুনাহ মাফের জন্য তওবা পড়ানো হয় মুসল্লিদের। এরপর বৃষ্টি চেয়ে দোয়া করা হয়। এসময় মুসল্লিরা কেঁদে কেঁদে আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে গাংনী তথা পুরো বাংলাদেশে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন গাংনী দারুস সালাম জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
নামাজ শেষে ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নাত। সালাতুল ইস্তিস্কার অর্থাৎ পানির জন্য দোয়া করা। তিনি আরও বলেন, রাসুল (সা.) এই নামাজের সময় তার দু-হাত উল্টে মোনাজাত করতেন। তার মানে তিনি পরিস্থিতির পরিবর্তন চাচ্ছেন।

ডাকবাংলা:
ঝিনাইদ সদরের সাগান্নার উত্তর নারায়ণপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাতটায় উত্তর নারায়ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন উত্তর নারায়ণপুর মডেল দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হজরত মাওলানা মোহাম্মদ ইকরামুল হক। তীব্র গরমে সূর্য্যরে তাপ উপেক্ষা করে নামাজে মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা। নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লি আরশাদ আলী বলেন, আমরা এই তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করে এই নামাজ আদায় করেছি। কয়েক দিনের টানা তাপদাহে পুড়ছে ঝিনাইদহসহ সারা দেশ। আর এই তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামণা করে মোনাজাত করা হয়।