শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে পড়ে আহত পথশিশুর পরিচয় মিলেছে

  • আপলোড তারিখঃ ৩০-১০-২০২৫ ইং
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে পড়ে আহত পথশিশুর পরিচয় মিলেছে

চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পথশিশুর পরিচয় মিলেছে। চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা ও জেলা পুলিশের মানবিক উদ্যোগে এক সপ্তাহ পর পথশিশুর পরিচয় মেলে। তার নাম আব্দুল খালেক। সে খুলনা মংলা পৌরসভার শামসুর রহমান রোডের বাসিন্দা। তার পিতার নাম তোকাব শিকদার, মায়ের নাম জেসমিন আক্তার।


জানা গেছে, গত ২৪ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকায় ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসের চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয় ১২ বছর বয়সী পথশিশু আব্দুল খালেক। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে অচেতন থাকায় এবং তার কাছ থেকে কোনো তথ্য না মেলায় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্য চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা শিশুটির চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং তার পরিচয় শনাক্তে জেলার সব থানাকে তৎপর হতে নির্দেশ দেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছেলেটির ছবি ও তথ্য প্রচার করা হয়।


অবশেষে পুলিশের প্রচেষ্টা ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় জানা যায়- শিশুটির নাম আব্দুল খালেক (১২)। সে খুলনা জেলার মংলা পৌরসভার শামসুর রহমান রোডের বাসিন্দা। তার পিতার নাম তোকাব শিকদার, মার নাম জেসমিন আক্তার। জেসমিনের প্রথম পক্ষের সন্তান আব্দুল খালেক। প্রায় ১০ বছর আগে বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর দারিদ্র‍্য ও পারিবারিক টানাপড়েনের কারণে খালেক স্বাভাবিকভাবে বড় হতে পারেনি। একসময় বাড়ি ছেড়ে ভবঘুরে জীবনে পা দেয়। ট্রেন-বাসে ঘুরে বেড়ানো ও ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে দিন পার করত সে।
পরিচয় শনাক্তের পর গতকাল বুধবার সকালে খুলনা থেকে ছুটে আসেন খালেকের মা জেসমিন আক্তার ও খালা মিম আক্তার। দীর্ঘদিন পর ছেলেকে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা জেসমিন। তিনি বলেন, ‘আমরা এতই দরিদ্র যে খুলনা থেকে ছেলের কাছে আসার ভাড়াটাও ধার করে আনতে হয়েছে। ও ছোটবেলা থেকেই কষ্টে ছিল। এখন যদি ওকে ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে পারতাম, হয়তো আবার বাঁচত।’


বর্তমানে আব্দুল খালেক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে সমাজের বিত্তবান ও মানবিক মানুষদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা শিশুটির চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসেন।



কমেন্ট বক্স
notebook

চুয়াডাঙ্গার গাইদঘাটে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত