গ্রাম-বাংলার প্রায় হারিয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতি, লোকঐতিহ্য ও শুদ্ধ ধারার সংগীতকে দেশ-বিদেশে তুলে ধরার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চুয়াডাঙ্গার সন্তান মনিরুজ্জামান ধীরু বাউল এ বছর পেয়েছেন ‘শেরে বাংলা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড’ পদক। তাঁর এ অর্জনে সংগীত বোদ্ধা ও সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষের মুখ উজ্জ্বল করেছে, গর্বিত করেছে চুয়াডাঙ্গাকে। গতকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ কচিকাচার মেলা মিলনায়তনে অবিভক্ত বাংলার মহান নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক-এর ১৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে দেশব্যাপী বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য গুণীজনদের হাতে ‘শেরে বাংলা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড পদক, সম্মাননা স্মারক ও সার্টিফিকেট’ তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক স্মৃতি পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও শেরে বাংলার দৌহিত্র, সাবেক তথ্য সচিব ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মুর্শেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি মীর হাসমত আলী (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট) এবং প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত অতিথিরা বক্তব্যে বলেন, ‘আজকের তরুণ প্রজন্মকে ধীরু বাউলের মতো শিল্পীরা লোকসংস্কৃতির শিকড়ে ফিরিয়ে নিতে পারেন। লোকসংগীত ও আঞ্চলিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে ধীরু বাউলের দীর্ঘদিনের নিরলস প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি শুধুই নিজেই প্রশংসিত হননি তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা কেউ প্রশংসিত করেছেন। অনুষ্ঠানে দেশের ৬৪ জেলার মোট ৬৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে পদক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এটিএন বাংলার উপস্থাপিকা তানিয়া আফরিন।
লোকসংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পাওয়ায় মনিরুজ্জামান ধীরু বাউল বলেন, ‘লোকসংস্কৃতি আমার প্রাণ, এই সংস্কৃতিই আমার দেশকে চিনিয়েছে বিশ্বে। এই সম্মান আমার নয়, এটি আমার চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষের।’ এদিকে, চুয়াডাঙ্গার এই গর্বিত সন্তানকে ঘিরে এখন জেলায় বইছে আনন্দের জোয়ার। সংস্কৃতি অঙ্গনের সকলেই জানাচ্ছেন ধীরু বাউলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
দর্শনা অফিস