মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

এবার গ্রীষ্মে সংকট সামাল দিতে প্রয়োজন অতিরিক্ত সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত

  • আপলোড তারিখঃ ২৭-০২-২০১৮ ইং
এবার গ্রীষ্মে সংকট সামাল দিতে প্রয়োজন অতিরিক্ত সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত
এনার্জি ব্যালেন্সসহ জেনারেশন শিডিউল তৈরিতে পিডিবির অনীহা সমীকরণ ডেস্ক: গ্রীষ্মে অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে এনার্জি ব্যালান্সসহ জেনারেশন শিডিউল প্রস্তুত করতে অনীহা জানিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। গ্রীষ্মকালে কোন বিদ্যুৎকেন্দ্র দৈনিক কত কিলোওয়াট/আওয়ার (ইউনিট) বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে, তার একটি শিডিউল তৈরি করতে পিডিবিকে বলা হয়েছিল বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে। এজন্য মাত্র সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৭৪ দিন পেরিয়ে গেলেও জেনারেশন শিডিউল তৈরি করে পাঠায়নি পিডিবি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, গত ১৩ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ ভবনে গ্রীষ্মের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে গ্রীষ্মের বিদ্যুৎ চাহিদা, লোড বরাদ্দ ও বিদ্যুৎ সরবরাহের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব-উল-আলম স্বাক্ষরিত ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত বলা হয়েছে, আসন্ন গ্রীষ্মের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এনার্জি ব্যালান্সসহ জেনারেশন শিডিউল তৈরি করে সাত দিনের মধ্যে পিডিবি বিদ্যুৎ বিভাগ, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি) ও সব বিতরণকারী কোম্পানির কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এনার্জি ব্যালান্সসহ জেনারেশন শিডিউল সম্পর্কে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র দৈনিক কত কিলোওয়াট আওয়ার (ইউনিট) বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে, তার তালিকা এই পদ্ধতিতে প্রস্তুত করতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্র সাধারণত হিসাব দেওয়া হয় মেগাওয়াটে। কিন্তু বাস্তবে উৎপাদনের সময় দেখা যায় কেন্দ্রগুলো চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ দিতে পারে না। এ কারণে সংকট তৈরি হয়। এবার ঠিক কতটা উৎপাদন করা সম্ভব হবে, তা বোঝার জন্যই এনার্জি ব্যালান্সসহ জেনারেশন শিডিউল প্রস্তুত করতে বলা হয়েছিল।’ পাওয়ার সেলের পরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘এখনও পিডিবির কাছ থেকে আমরা এনার্জি ব্যালান্সসহ জেনারেশন শিডিউল পায়নি। শিডিউল পেলে আগামী গ্রীষ্মের বিদ্যুতের চাহিদার একটা সাধারণ হিসাব বের করা সম্ভব হতো, তা নয়। বরং জ্বালানি খরচ কেমন হবে, কী পরিমাণ গ্যাস ও তেলের প্রয়োজন হবে, তাও বোঝা যেতো।’ জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগ আগামী গ্রীষ্মে বিতরণ পর্যায়ে ১৩ হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াটের চাহিদা নির্ধারণ করেছে। গত বছর বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে নয় হাজার ৭০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত। তবে অধিকাংশ দিন গড়ে উৎপাদন ছিল নয় হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি। এতে করে এবার সংকট সামাল দিতে অতিরিক্ত সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াটের উৎপাদন বাড়াতে হবে। কিন্তু একবছরের মধ্যে এতটা উৎপাদন বাড়ানো আদৌ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সরকার শেষ সময়ে এসে সংকট সামাল দিতে তেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি করছে। যদিও পিডিবি বলছে, তাদের পক্ষে ১৩ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এদিকে গ্রীষ্মে চাহিদামাফিক গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তা পায়নি পিডিবি। দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ঠিক রাখতে এক হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট বিদ্যুতের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পেট্রোবাংলার কাছ থেকে এখনও চাহিদা মাফিক গ্যাস পাওয়ার কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। জ্বালানি বিভাগ জানায়, গ্রীষ্মের জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় মার্চের শুরু থেকে সারকারখানা বন্ধ করে ওই গ্যাস বিদ্যুতে সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পিডিবি এবার ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চেয়েছে। গত বছর গ্রীষ্মেও এই গ্যাসের সরবরাহ ছিল এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। যেহেতু গ্যাসের উৎপাদন বাড়েনি, তাই এবারও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ পাওয়ার ক্ষেত্রে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) বলেন, ‘আগামী গ্রীষ্মে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে, তার আগাম হিসাব বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে দেওয়া হয়েছে। তবে এনার্জি ব্যালেন্সসহ দেওয়া হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আসলে এরমধ্যে আরও একটি বৈঠক হয়েছিল। তাতে এ বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তাই আমরা শুধু মেগাওয়াটের হিসাবই দিয়ে যাচ্ছি।’


কমেন্ট বক্স
notebook

দেশের কোনো নাগরিকেরই এখন দুটি এনআইডি কার্ড নেই: ডিজি