চুয়াডাঙ্গায় দুই নারীসহ ৯ আইনজীবীর সদস্য পদ বাতিল করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সাধারণ সভার অডিট অধিবেশনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সাথে বারের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন ওই ৯ আইনজীবী। সদস্য পদ বাতিল হওয়া ৯ আইনজীবী হলেন- জাভেদ ইকবাল, মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ, মো. শামীম হাসান, মোছা. মরিয়ম খাতুন, মোছা. মাসুরা খাতুন, মো. আশরাফুল আলম রাজু, মো. মফিজুর রহমান পিণ্টু, মো. সুমন আলী ও মো. হাসানুজ্জামান।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাঈদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভা সঞ্চালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহসান আলী। সভায় পবিত্র কুরআন থেকে তিলওয়াত করেন আকসিজুল ইসলাম রতন। অডিট অধিবেশনে মারুফ সরোয়ার বাবু (পিপি), আব্দুল খালেক (জিপি), সাবেক সভাপতি সেলিম উদ্দিন খান এবং এম এম শাহজাহান মুকুল (পিপি- নারী ও শিশু), সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, আ.স.ম. আব্দুর রউফ, তালিম হোসেন ও ফজলে রাব্বী সাগর, সিনিয়র আইনজীবী আব্দুস সামাদ, সোহরাব হোসেন (২), ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, মইন উদ্দিন মইনুল, তসলিম উদ্দিন ফিরোজ, খন্দকার অহিদুল আলম মানি ও মোসলেম উদ্দিন (২) বক্তব্য দেন।
সভায় জেলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি মানজার আলী জোয়ার্দ্দার হেলাল ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবীর এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ সভার অডিট অধিবেশনে ২০২৪ সালের অডিট প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। অডিট উপ-পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে এম এম শাহজাহান মুকুল দায়িত্ব পালন করেন। সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আসাদুজ্জামান মিল্টন ও ওহিদুজ্জামান মুকুল।
চুয়াডাঙ্গা বারে ২০২৫ সালের ১ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চার মাসে সর্বমোট আয় হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ২
কোটি ৯০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ব্যাংকে মজুদের পরিমাণ ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ৫৫০ টাকা। চুয়াডাঙ্গার কৃষি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও রুপালী ব্যাংকে এফডিআর-এর পরিমাণ ৪ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
সভায় বক্তারা বলেন, তালিকাভুক্ত অনিয়মিত সদস্যদের সদস্য পদ বাতিলের দাবি করছি। শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের লিখিত ফরম ও ফি জমা দিতে হবে। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণের দাবিতে কর্মবিরতির পালনের দাবি করছি। আইনজীবী সহকারীর তালিকা নির্দিষ্ট হওয়া উচিত। কোনো আইনজীবী সহকারী কার্ড ছাড়া চলাচল করতে পারবে না। এছাড়া কোর্ট এলাকায় টাউট ও দালালদের উৎপাত বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে দাবি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাঈদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিম বলেন, যে সকল অনিয়মিত সদস্য বারে আসেন না, তাদের বিষয়ে নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নোটিশ দেয়া হয়েছে। কেউ কেউ জবাব দিয়েছেন এবং কেউ কেউ জবাব দেয়নি। জবাব সন্দেহজনক হওয়ায় আবেদন না মঞ্জুর করা হয়। এরপর সাধারণ সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে এবং সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ৯ জন আইনজীবীর সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে এবং সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনজন কিপিং সদস্য তাদের সদস্য পদ বহাল থাকবে। শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা ২ হাজার টাকা জমা দিয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে ইন্টিমেশন জমা দিতে পারবেন এবং ১ বছরের বেশি শিক্ষানবিশ হিসেবে প্র্যাকটিসের সুযোগ পাবেন না।
 
                         সমীকরণ প্রতিবেদক
 সমীকরণ প্রতিবেদক  
                                             
  
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                             
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                        