৩ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনায় মারা গেলেন স্বামী-স্ত্রী
- আপলোড তারিখঃ ২৩-০৬-২০২১ ইং
ঝিনাইদহ অফিস:
নিজ বাড়িতে স্ত্রী রাহেলা খাতুন (৫০) মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছিলেন। তাঁকে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারা যান তিনি সকাল ৮টায়। স্বামী নুর ইসলাম (৬০) তখনও মূমুর্ষ। অক্সিজেন চলছে। মেয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। গোটা পরিবার যেন অস্থির। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামে পিন পতনের নীরবতা। স্ত্রী রাহেলা মৃত্যুর তিন ঘণ্টা পর স্বামী নুর ইসলামও পাড়ি জমান পরপারে। তিন ঘণ্টার ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর খবরে বাগুটিয়া গ্রামটি শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
গ্রামবাসী জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টায় মূমুর্ষ অবস্থায় রাহেলা খাতুনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তাঁর স্বামী নুর ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঝিনাইদহ করোনা ইউনিটে বেলা ১১টার দিকে তাঁরও মৃত্যু হয়।
শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এ কে এম সুজায়েত হোসেন জানান, রাহেলা খাতুন ও তাঁর স্বামী গত ১০ দিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে ভুগছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাহেলাকে মৃত অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর মৃত ব্যক্তির নমুনা পুনরায় এন্টিজেন টেস্ট করলে তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপর তাঁর অসুস্থ স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি রাখার পর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
এদিকে ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ খান জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে শৈলকুপার বাগুটিয়া গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে স্বামী-স্ত্রীকে শোক বিধুর পরিবেশে দাফন করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাশ দাফন কমিটির সদস্য হাফেজ মাওলানা খায়রুল ইসলাম ও মাওলানা মো. শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে লাশ দুটি দাফন করা হয়। এ নিয়ে ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৮৭ জনের লাশ দাফন করল।
কমেন্ট বক্স