নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাথে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ভিক্ষুক মুক্তকরণ বিষয়ক ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (এসডিজি)’র সাথে এই ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয় বিভাগের চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও বাগেরহাট জেলা। রাত ৮টা ১০মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে বক্তব্যের আহ্বান জানালে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, ভিক্ষুক মুক্তকরণে চুয়াডাঙ্গা জেলা অনেক এগিয়ে গেছে। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাসহ আর হাতে গোনা কয়েকটি ইউনিয়নে ভিক্ষুক তালিকা অসমাপ্ত রয়েছে। চুড়ান্ত ভিক্ষুক তালিকা পেলেই সমগ্র জেলা ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুলনা বিভাগের সকল জেলার সাথে কথা বলা শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৮ সালের মধ্যে ভিক্ষুকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এর বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তাই সকল জেলায় তাদেরকে একটি ফরম পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আপনারা আপনাদের উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, জনপ্রতিনিধিরা একত্রিত হয়ে এই ভিক্ষুকদের সংখ্যা জানবেন এবং তাদের শ্রেণি বিন্যাস করে তাদের কর্মসংস্থান করে দিবেন। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি ৩ মাসে একটি জেলার সাথে মতবিনিময় করবেন বলে জানান। এ সময় মূখ্য সমন্বয়ক চুয়াডাঙ্গা জেলার ভিক্ষুক মুক্তকরণ কর্মসূচীর অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ভিডিও কনফারেন্সে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হাসান, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আনজুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেব প্রসাদ পাল,  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুর রাজ্জাক, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ সচিব ড. লুৎফর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃণাল কান্তি দে, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানসহ জেলার চারটি উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক ও এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।