শত কোটির টাকা ঋণের জালে আটকে যাওয়ার আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা!
- আপলোড তারিখঃ ১৭-০৫-২০২০ ইং
চুয়াডাঙ্গায় ডিসির সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ, দোকানপাট খোলার আবেদন নাকচ
দোকানপাট খোলা থাকলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়বে: ডিসি নজরুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার ব্যবসায়ীদের দোকানপাট খোলার আবেদন নাকচ করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। জানা গেছে, গতকাল শনিবার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দোকানপাট খোলার আবেদন নিয়ে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি লিখিত আবেদনপত্র দেন তাঁরা। আবেদনপত্রে তাঁরা বলেন, ‘মার্কেট খোলার ঘোষণা দেওয়ায় আমরা ঈদের চাহিদা বিবেচনায় মহাজনের কাছ থেকে ধার করে, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দোকান সাজিয়েছি। এগুলো বিক্রি করতে না পারলে অনেক পণ্য পরে অবিক্রিত হয়ে যাবে। আমরা প্রায় ১ শ কোটি টাকার ঋণের জালে আটকা পড়ে ধ্বংস হয়ে যাব। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে, আপনার সাথে, সংসদ সদস্য এবং পুলিশ সুপার মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে স্থানীয়ভাবে আরও কিছু নির্দেশনা তৈরি করে, সেগুলি বাস্তবায়নপূর্বক দোকানপাট খোলা রাখতে ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে ইচ্ছুক।’
সমবায় নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মিজাইল জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘প্রথমে লকডাউনের কারণে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তখনও আমাদের লোকসান হচ্ছিল। তবে তাতে আমরা আপত্তি করিনি। কিন্তু খোলার পর পুনরায় বন্ধ করায় ক্ষতির পরিমাণ বাড়ল। দোকান খোলার সুযোগ পেয়ে আমরা ঈদ বাজার হিসেবে নতুন নতুন মালপত্র উঠিয়েছি। সেগুলিই এখন আমাদের গলার কাটা হলো। এই মালগুলো তুলতে নতুন করে মহাজনের কাছে ধার ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করছিলাম। আবার নতুন স্বাস্থ্য-সুরক্ষা সরঞ্জামাদিও তৈরি করাচ্ছিলাম। প্রশাসন যদি কঠোর নির্দেশনা দিয়ে হলেও দোকানপাট খোলার অনুমতি দিত, তাহলে আমাদের লোকসান কম হত। চুয়াডাঙ্গায় ১ শ কোটি টাকার ঋণের জালে আটকা পড়বে ব্যবসায়ীরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাদের বলেছেন, একটি বড় ফোরামে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটির বিষয়ে তিনি আলোচনা করে দেখবেন। এখন আমরা সেই আশাতেই আছি।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলার আবেদন নিয়ে এসেছিলেন। তবে এ বিষয়ে আমি আপাতত না বলেছি। চুয়াডাঙ্গায় আজও (শনিবার) করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিনই এ সংখ্যা বাড়ছে। মোট আক্রান্ত ৭৮ জন। এমন একটি পরিস্থিতিতে দোকানপাট খোলা থাকলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। আর তাছাড়া, একটি বড় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এটির বিষয়ে পরে দেখা হবে।
কমেন্ট বক্স