মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

আলমডাঙ্গায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী গৃহবধূকে ধর্ষণ!

  • আপলোড তারিখঃ ১০-০৬-২০১৯ ইং
আলমডাঙ্গায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী গৃহবধূকে ধর্ষণ!
নিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গার শ্রীরামপুরে আলাল (৫০) নামের এক ব্যক্তি প্রতিবেশী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি গত শনিবার রাত আটটার দিকে ঘটে। ধর্ষণের সময় ধর্ষিতা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর চাচা আনোয়ার দেখে ফেলায় তাঁকে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। ধর্ষণকারী ব্যক্তি ওই এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিষয়টি মীমাংসা করতে তাঁদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন বলে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের দিনমজুর আরিফের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্ত্রী শনিবার রাতে নিজ ঘরে স্বামীর সঙ্গে শুয়ে থাকার একপর্যায়ে আরিফ বিড়ি কিনতে বাড়ির পাশের মোড়ের দোকানে যান। এ সুযোগে আরিফকে খোঁজার বাহানায় তাঁর বাড়িতে যান শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত হামিদ বিশ্বাসের ছেলে আলাল। আরিফের বাড়িতে যেয়েই ঘরের মধ্যে ঢুকে ল্যাম্পের আলো নিভিয়ে দেন আলাল এবং আরিফের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন। পাশবিক নির্যাতন চালানোর সময় ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর বাড়ির পাশের প্রতিবেশী চাচা আনোয়ার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তিনি সোজা আরিফের ঘরের মধ্যে ঢুকে আলালকে হাতেনাতে ধরেন। এসময় প্রতিবেশী চাচা আনোয়ার চিৎকার দিয়ে এলাকাবাসীর সাহায্য চান। চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলেও তার আগে কৌশলে পালিয়ে যায় ধর্ষক আলাল। এ ঘটনা এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে আলালের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এদিকে, ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন আলালের পরিবারের সদস্যরাসহ ওই এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। বিভিন্ন মাধ্যমে ধর্ষিত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও তাঁর প্রতিবেশী চাচা আনোয়ারকে হুমকি প্রদান করতে করা হয় এবং বিষয়টি গোপনে সমাধান করার আশ্বাসও দেন হুমকি দাতারা। এ ঘটনায় ধর্ষিতা জানান, ‘শনিবার রাতে আমার স্বামী আরিফ বিড়ি কিনতে বাড়ির পাশের দোকানে যায়। এ সময় আলাল অন্ধকারে সুযোগ পেয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। রাতের আঁধারে ভেবেছি, আমার স্বামী আরিফ। পরে চাচার মোবাইলের আলোতে দেখি আলাল ছুড়া।’ এ ঘটনার আগে রাতে আঁধারের সুযোগে আলাল তিন দিন তাঁকে ধর্ষণ করলেও পাগল বলে তাঁর কথা কেউ বিশ্বাস করেননি। ধর্ষিতা আরও জানান, ‘থানায় পুলিশ স্যারের কাছে আলালের বিরুদ্ধে সব বলে দিব, কিন্তু ভয় লেগেছে, থানায় যেতে পারিনি।’ আলমডাঙ্গার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, ‘ধর্ষণের ঘটনাটি কেউ আমাকে জানাইনি। কোনো অভিযোগও হয়নি। ধর্ষণকারীদের কেউ যদি থানায় আসতে ভয়ভীতি প্রদান করে এবং ঘটনাটি সত্য হলে আমাকে মোবাইল ফোনে জানালে পুলিশ তাঁদের কাছে পৌঁছে যাবে।’


কমেন্ট বক্স
notebook

দেশের কোনো নাগরিকেরই এখন দুটি এনআইডি কার্ড নেই: ডিজি