দৈনিক মাথাভাঙ্গায় ‘জীবননগর গোয়ালপাড়ায় দিনে দুপুরে পুকুর থেকে মাছ লুট ও আদালতে মামলা’ এই শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা দাবি করে এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জীবননগর মুক্তমঞ্চে এই সংবাদ সম্মেলন করেন গোয়ালপাড়া গ্রামের দিন মোহাম্মদের ছেলে হাফিজুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম এবং একই গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে আবু তালেব ও ছুরাপ আলীর ছেলে মো. জহর আলী।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৩ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা
থেকে প্রকাশিত দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার শেষ পাতায় ৫ কলামে এই সংবাদ
প্রকাশিত হয়। সংবাদটি মিথ্যা দাবি করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে
সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। আবু তালেব লিখিত বক্তব্য বলেন, ‘আমরা উল্লেখিত
ব্যক্তিগণ নতুন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক বিঘা জমিতে থাকা পুকুর
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত চুক্তিনামা মোতাবেক বাংলা ১৪৩২
সালের বৈশাখ মাস থেকে পুকুর লিজ গ্রহণ করে পুকুরে বিভিন্ন প্রকার মাছ ছেড়ে
চাষ করে আসছি। দীর্ঘদিন পরিচর্যার পর গত ২২ অক্টোবর-২০২৫ ইং তারিখে মাছ ধরা
শুরু করি। দীর্ঘদিন পুকুরে মাছ চাষ করলেও কেউ কোনো প্রকার বাধা কিংবা
আমাদেরকে নিষেধ প্রদান করেননি।
আরও বলেন, কিন্তু দামুড়হুদা উপজেলার
ছোটদুধপাতিলা গ্রামের আনসার আলীর ছেলে জনৈক রুকমান আমাদেরকে বিবাদী করে
বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি পুকুর লিজ গ্রহীতা না হলেও এবং তার
স্বপক্ষে কোনো দলিলাদি/প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও তিনি কীভাবে বিজ্ঞ আদালতে
মামলা দায়ের করেছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ ছাড়াও রোকমান আলীকে খুন, জখম
এবং রোকমান আলীর শ্বশুরের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করার বিষয়টি
আদৌ সত্য নহে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পুকুর লিজের বিষয়ে বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক সহ সকল শিক্ষকগণ অবহিত আছেন। ঘটনার বিষয়ে এলাকাবাসী অবগত
আছেন। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত সত্য ঘটনা প্রকালের জন্য
আপনাদের পত্রিকায় প্রকাশের জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি'।
জীবননগর অফিস