চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ’র মোটরযান পরিদর্শক নজরুল ইসলামের বদলীর আদেশ বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জেলার সেবা গ্রহীতারা। সোমবার (৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যোগাযোগ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলার সকল মোটর মালিক সমিতি ও একাধিক শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ’তে একের পর এক কর্মকর্তা বদলীজনিত কারণে দাপ্তরিক কাজে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবা গ্রহীতারা। একই সাথে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে বদলীর কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরাও। বর্তমান মোটরযান পরিদর্শক সাত মাস আগে চুয়াডাঙ্গায় এসে তার সন্তানদের স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করেন। বছর না যেতেই ওই শিশুদের আবারও নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হবে।
এসময় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মুক্তা বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় গত ১০ মাসে তিনজন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) বদলীজনিত কারণে এ কর্মস্থলে এসেছেন এবং কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। একই সাথে বর্তমান মোটরযান পরিদর্শক সাত মাসের ব্যবধানে এ জেলা থেকে বদলী আদেশ পেয়েছেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে একটানা তিন মাস জেলার সহকারি পরিচালক পদে কোন কর্মকর্তা ছিলেন না। এসময় বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনও বন্ধ ছিলো। চুয়াডাঙ্গা মালিক সমিতি থেকে বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জি.) জিয়াউর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুন উদ্দিন টনিক বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি আশা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন তাহলে দাপ্তরিক কাজে নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়। একজন কর্মকর্তা নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর কাজ বুঝে নিতেও কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। এ জন্য সরকারি বিধান মতো এক কর্মকর্তাকে একই কর্মস্থলে তিন বছর পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ দিলে সেবার মানও বৃদ্ধি পায়। এ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা অফিসের মোটরযান পরিদর্শকের বর্তমান বদলি আদেশ বাতিলের দাবি জানান তিনি।
মামুন উদ্দিন টনিক প্রশ্ন তোলেন, চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ’তে এত ঘনঘন বদলির মূল কারণ কী? একজন কর্মকর্তার কোন সমস্যা থাকলে বদলি হতেই পারে। কিন্তু অকারণে বদলি সেবা গ্রহীতাদের সমস্যা কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস কোচ ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, নিরাপদ সড়ক চাই চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মানিক আকবর ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।
সমীকরণ প্রতিবেদক