চুয়াডাঙ্গায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় খাইরুল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। আসামি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত খাইরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসাপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্কুল শেষে চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজ মোড় হয়ে বাড়ি ফিরছিল ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী। পথে বিয়ের প্রলোভনে তাকে ইজিবাইকে তুলে নেয় খাইরুল। এরপর রাত ১টার দিকে পৌর এলাকার সুমিরদিয়ায় একটি বাঁশবাগানে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে সে। যাওয়ার সময় ঘটনাটি কাউ না জানাতে হুমকিও দিয়ে যায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
ঘটনার পরদিন ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ২০ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এর আগে আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় রায় প্রদান করেন।
এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এমএম শাহজাহান মুকুল বলেন, ‘আদালত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষ রায়ে সন্তুষ্ট।’
নিজস্ব প্রতিবেদক