বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

দর্শনা হল্ট স্টেশনে সুন্দরবন-চিত্রার স্টপেজ দাবিতে ২ ঘণ্টার রেল অবরোধ

দাবি আদায়ে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন
  • আপলোড তারিখঃ ২৫-০৬-২০২৫ ইং
দর্শনা হল্ট স্টেশনে সুন্দরবন-চিত্রার স্টপেজ দাবিতে ২ ঘণ্টার রেল অবরোধ

ঢাকা ও খুলনার মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী আন্তঃনগর সুন্দরবন ট্রেনের আপ এবং চিত্রা ট্রেনের ডাউন লাইনে দর্শনা হল্ট স্টেশনে স্টপেজের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন করেছে দর্শনাবাসী ছাত্র-জনতা। এসময় দুই ঘণ্টাব্যাপী রেল অবরোধও করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি দর্শনা হল্ট স্টেশনে পৌঁছালে স্থানীয় শত শত মানুষ ও শিক্ষার্থী রেললাইনের ওপর অবস্থান নিয়ে ট্রেনটি আটকে দেন। এসময় ‘দর্শনায় স্টপেজ চাই’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে স্টেশন এলাকা। দীর্ঘদিনের এ দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা জানান, ট্রেন চলাচলের সুবিধার জন্য দর্শনায় আপ লাইন সুন্দরবন ও ডাউন লাইন চিত্রা এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া সময়ের দাবি।


তাদের আরও দাবি, দর্শনা আন্তর্জাতিক স্টেশন থেকে রাজশাহীগামী সকালবেলার একটি ট্রেন চালু করতে হবে এবং দর্শনা-গোয়ালন্দ লোকাল (শাটল) ট্রেনটি পোড়াদহ পর্যন্ত না নিয়ে দর্শনা আন্তর্জাতিক স্টেশন পর্যন্ত চালানো প্রয়োজন। এই দাবিগুলো নিয়ে দর্শনাবাসী দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন। অবরোধ চলাকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তিথি মিত্র ও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমীর। তারা আন্দোলনকারীদের বারবার অনুরোধ করেন অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য, কিন্তু আন্দোলনরত জনতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলতে দেওয়া হবে না।


একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সেনা বাহিনীর ক্যাপ্টেন সৌমিক আহম্মেদ অয়ন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা তানভীর অনিক, আবিদ হাসান রিফাত, এবং দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুলের উপস্থিতিতে ক্যাপ্টেন সৌমিক এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ প্রত্যাহার করেন। অবরোধ প্রত্যাহারের পর বেলা ৩টা ৫৭ মিনিটে সুন্দরবন ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করে। একই সময়ে আটকে পড়া আরও তিনটি ট্রেনের চলাচল স্বাভাবিক হয়।



আন্দোলন চলাকালে বক্তব্য দেন দর্শনা ডিএস মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শফিউদ্দিন ও দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট। তারা বলেন, দর্শনাবাসীর যৌক্তিক দাবিকে দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষা করা হচ্ছে, অথচ দর্শনা একটি আন্তর্জাতিক স্টেশন এবং এ অঞ্চলের জনগণের যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।


বক্তব্য দেন আরও-দর্শনা পুরাতন বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহেল, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু, সাংবাদিক আওয়াল হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব মামুন, দর্শনা কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব পলাশ আহম্মেদ, থানা বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক সরোয়ার হোসেন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ-আবিদ হাসান রিফাত, তানভীর অনিক ও তৈহিদ ইসলাম। অবরোধ কর্মসূচি পরিচালনা করেন দর্শনা অনিবার্ণ থিয়েটারের সাজ্জাদ হোসেন।


এসময় আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়ে দেন, দাবি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হলে আগামী মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সকল আন্তঃনগর ট্রেনসহ দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ট্রেন অবরোধে আটকে দেয়া হবে। এতে জনদুর্ভোগ বাড়লেও দাবি আদায়ে তারা রাজপথ ও রেলপথে থাকার ঘোষণা দেন।



কমেন্ট বক্স
notebook

নৈশপ্রহরী না থাকায় নিরাপত্তাহীন দত্তনগর হাইস্কুল