আলমডাঙ্গায় সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসহ জাদু (৪৬) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হারদী সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার হারদী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের গোরস্থানপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আটক জাদু ওই এলাকার মৃত দেলবারের ছেলে। অভিযানের সময় তার নিকট থেকে একটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, পাঁচটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, একটি মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, আটকের পর জাদুর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে দ্বিতীয় দফা অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ওই বাড়ির বাথরুমের কমোড থেকে আরও নগদ অর্থ ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আটককৃত জাদু পুলিশের হেফাজতে ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাদু এর আগে আলোচিত বড় বোয়ালিয়া গ্রামের জনি ও ডুবার নামের দুই বক্তিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রধান আসামি ছিলেন। ৯ বছর জেল খাটার পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। এলাকাবাসীর দাবি, বর্তমানে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জাদুর বিরুদ্ধে আরও কোনো মামলা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘হারদী ইউনিয়নের কেশবপুর গোরস্থানপাড়া থেকে জাদুকে অস্ত্রসহ আটক করে সেনাবাহিনী। পরে তাকে অস্ত্রসহ থানায় হস্তান্তর করে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।’
এদিকে, অভিযান ও আটকের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, অতীতেও জাদুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছিল। এবারের ঘটনায় তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও অপরাধ জগতের সংযোগ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।