ঝিনাইদহ অফিস 
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আসমিন সুলতানা অথৈ নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী হলে গিয়ে জানতে পারে তার বিষয় পরিবর্তন হয়ে গেছে। পরীক্ষার্থীর আবেদন ছাড়াই কৃষিশিক্ষা পরিবর্তে কীভাবে গার্হস্থ্য অর্থনীতি হলো, কেন হলো কিছুই জানে না অথৈ। বিষয় পরিবর্তন হওয়ায় পরীক্ষার হলের মধ্যেই সে দিশেহারা হয়ে পড়ে। আসমিন সুলতানা অথৈ জানায়, প্রস্তুতি ছাড়াই গার্হস্থ্য অর্থনীতি পরীক্ষা শেষ করে বাসায় ফিরে জানতে পারে তার আরও একটি বিষয় পরিবর্তন হয়ে রয়েছে। বিষয় দুটি বিদ্যালয়ে না থাকলেও পরীক্ষার্থীর আবেদন ছাড়াই কীভাবে পরিবর্তন হলো, তা নিয়ে অভিভাবকের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
অথৈ আরও জানায়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মানবিক বিভাগে সে নিবন্ধন করে। তার পছন্দের বিষয় ছিল কৃষিশিক্ষা ও অর্থনীতি। নবম ও দশম শ্রেণিতেও এ দুটি বিষয়ে নিয়মিত পাঠ করেছে। শিক্ষার্থীর অভিযোগ, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার সাথে এমনটি করা হয়েছে। কারণ হিসেবে অথৈ জানায়, ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে প্রধান শিক্ষক বিদৌরা আক্তারের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে সম্মুখভাগে থেকে আন্দোলন গড়ে তোলে। ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার শিক্ষাজীবন নষ্ট করার জন্যই প্রধান শিক্ষক এই অমানবিক কাজ করেছে।
শিক্ষার্থী অথৈর পিতা আব্দুল আলিম জানান, ৫ আগস্টের পর বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বিদৌরা আক্তারের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে আন্দোলন হয় । সে আন্দোলনে তার মেয়ে সমন্বয়কারী হিসেবে নেতৃত্ব দেয়। তখন থেকে বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি প্রধান শিক্ষক ।
এ ব্যাপারে সলিমুন্নেছা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিদৌরা আক্তার বলেন, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা সত্য নয়। বিষয় পরিবর্তনের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। কিন্তু কীভাবে এটা পরিবর্তন হলো, তার কোনো সঠিক উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
বিদ্যালয়টির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দেদারুল ইসলাম বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
