হাপানিয়ায় জয়নাল হত্যায় মিথ্যা মামলা ও পোষ্টারিংয়ের ঘটনায় পৃথক প্রতিবাদ
- আপলোড তারিখঃ ১৭-০৯-২০১৭ ইং
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত ‘সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা হাশেম আলীর অভিযোগ’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার আব্দুস শুকুর। তিনি তার প্রতিবাদলিপিতে বলেন- আমি প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদসহ সর্ব সাধারণের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসেম আলি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইতে অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর যে অভিযোগ তুলেছেন তা নিতান্তই তার মনগড়া এবং কল্পনাপ্রসূত। কোন্ কোন্ অমুক্তিযোদ্ধা ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে তাদের নামোল্লেখ না করে মনগড়া অভিযোগ তুলে আমাকে ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে হেয় করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সাত সদস্য বিশিষ্ট যাচাই-বাছাই বোর্ডের কোনো সদস্যর পক্ষেই এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে কোনো উৎকোচের মাধ্যমে কারো পক্ষে কাউকে মুক্তিযোদ্ধা বানানো সম্ভব নয়। যাচাই-বাছাই বোর্ড যথারীতি স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যোগ্যতার ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধা বাছাই করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আমি বা আমরা নই বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসেম আলীই সত্য গোপন করে তার নিজের ভগ্নিপতিসহ আরো পাঁচজন রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন। হাসেম আলী অভিযোগ করেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত মেলার নয় লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছি। যেখানে মেলা থেকে সর্বসাকুল্যে আয় পাঁচ লাখ টাকা, সেখান থেকে নয় লাখ টাকা আত্মসাৎ করা একেবারেই অবান্তর। তাছাড়া মেলার আয় ব্যয়ের হিসাব উপজেলা কমান্ডের মিটিংএ অনুমোদিত হয়েছে। আমি নই বরং হাসেম আলীই তাদের আমলে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মেলার লটারীর জন্য কেনা বাজাজ মোটরসাইকেল এবং ন্যাশনাল টেলিভিশন আত্মসাৎ করছিলেন, জেলার মুক্তিযোদ্ধাগণ সেকথা জানেন। বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের স্থানে মতিমিয়ার গোডাউন ভাঙ্গা ইট গুলো কে নিয়ে গিয়ে বাড়ী বানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা সেকথাও জানেন।
কমেন্ট বক্স