মেহেরপুর সরকারী কলেজে পিঠা-পুলি উৎসব
- আপলোড তারিখঃ ০৬-০২-২০১৮ ইং
তরুণ প্রজন্মের সাথে বাঙালীর হারিয়ে যাওয়া পুলি পিঠার পরিচয়
মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সরকারী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পিঠা-পুলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে সরকারী কলেজ প্রাঙ্গণে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ উৎসবের আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ সরকারী কলেজ প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও পিঠা পুলি উৎসব কমিটির আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল আমিন। মেহেরপুর সরকারী মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে পিঠা পুলি উৎসবের উদ্বোধন করেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর সরকারী কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ খান, রাজশাহী সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যপক ড. ফিরোজ মাহমুদ, মেহেরপুর সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যপক ড. ইনাম হোসেন, আব্দুল আজিজ। পিঠা পুলি উৎসব অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সরকারী কলেজের প্রভাষক বশির আহামেদ, সানজিদা ফেরদৌস, সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কুদরত-ই খোদা রুবেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা প্রমুখ। পিঠা পুলি উৎসবে মেহেরপুর সরকারী কলেজের বিভিন্ন বিভাগের ৭টি স্টল করা হয়। পিঠা পুলি উৎসব কমিটির আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা পুলির স্বাদ শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িডে দিতেই আমাদের এই আয়োজন।
অনুষ্ঠনটি শেষ হয় বিকেল ৪টায়। উৎসবে পাকান পিঠা, রস পিঠা, চিতাই পিঠা, জামাই পিঠা, দুধ পিঠা, ঝিনুক পিঠা, পাটিসাপটা, রসপিঠা সহ হরেক রকমের পিঠা পশরা সাজানো শিক্ষার্থীদের স্টলে। পিঠা উৎসবে মোট ১২টি স্টল ছিল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ৪টি, বাংলা ১টি, স্নাতক প্রথম বর্ষ ১টি, দ্বাদশ শ্রেণী ১টি, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ ১টি, শিক্ষক মন্ডলীর বই সহ পিঠা ১টি, অন্যান্য ছাত্র মিলে আরো ৩ টি।
পিঠা উৎসব দেখতে আশা শহরের আবুল কাদের বলেন, দেশের ঐতিহ্য তাদের সন্তান ও আগামী প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে হলে হারিয়া যাওয়া গ্রাম বাংলার বিভিন্ন উৎসবে প্রিয় খাবার হরেক রকম পদের সুস্বাদু পিঠা গুলোকে এই ধরণের উৎসবের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। এখানে এসে মোট ১০৫ পদের নানা স্বাদের পিঠার সঙ্গে তার সন্তানদের পরিচিত করতে পেরে তিনি খুব আনন্দিত হয়েছেন। পিঠা উৎসবের স্টলের শিক্ষার্থী সানজিদা আহসান বলেন, কয়েকদিন ধরে পিঠা উৎসবের জন্য তারা তাদের মায়েদের কাছ থেকে সর্বপ্রথম পিঠা বানানো শেখেন। বাড়িতে বাড়িতে বেশকিছুদিন ধরে তারা সুস্বাধু পিঠা বানোনো প্রশিক্ষন নেন। এর পরে পিঠা উৎসবের আয়োজনে সানজিদা সহ কলেজের আরো ৩৩ জন শিক্ষর্থীরা নানা পদের পিঠা বানিয়ে উৎসবে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন সব চেয়ে ভালো লেগেছেে আগত দর্শনার্থিদের দেখে। এর পরে আরো বড় পরিসরে পিঠার উৎসব করতে তারা তৈরি হবেন।
পিঠা উৎসবে আয়োজক কলেজটির রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, পিঠা উৎসবকে কেন্দ্র করে বাঙালী ঐতিহ্য কৃষ্টি শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন করে উপস্থাপিত হবে। বাঙালীর হারিয়ে যেতে বসা পিঠা নতুন প্রজন্মকে কাছে পরিচয় করে দিতে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন। উৎসবে ১২টি স্টলে বিভিন্ন ধরনের পিঠা প্রদর্শন করেন কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
কমেন্ট বক্স