বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার, ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার

  • আপলোড তারিখঃ ০৪-০১-২০২৫ ইং
হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার, ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার

মেহেরপুরের গাংনীতে চাঞ্চল্যকর যুবদল নেতা আলমগীর হত্যায় সরাসরি জড়িত ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাব-১২ গাংনী ক্যাম্পের একটি দল গত বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আলমগীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃতরা। গতকাল শুক্রবার র‌্যাব-১২ গাংনী ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফ উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার চৌগাছা গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে বিপ্লব (৩৬), বাঁশবাড়িয়া পশ্চিমপাড়ার আব্দুল আউয়ালের ছেলে মফিকুল ইসলাম (৩৯) ও কোদাইলকাটি গ্রামের জামাত আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০)। গ্রেপ্তার ৩ জনকে গতকাল সকালে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়। এবং বিকেলে পুলিশ তাদেরকে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করে।

র‌্যাব-১২ গাংনী ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফ উল্লাহ পিপিএম জানান, গাংনী থানাধীন বাঁশবাড়িয়া উত্তরপাড়ার মইনুদ্দীনের ছেলে আলমগীরকে গত বুধবার দিবাগত রাতে ষোলটাকা ইউনিয়নের সহড়াবাড়িয়া ইছাখালি মাঠে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। ঘটনার পরপরই হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে র‌্যাব। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুনিদের পরিচয় ও অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, প্রায় ৪ বছর আগে যুবদল নেতা আলমগীর আসামি মফিকুল ইসলামের নিকট থেকে ২ লাখ টাকা ধার হিসেবে গ্রহণ করেন। এ টাকা ফেরত না দিয়ে বছর দেড়েক আগে সে বিদেশ চলে যায়। মাস তিনেক আগে আলমগীর দেশে ফিরে আসে। এরপর থেকে বারবার টাকা ফেরত চাইলেও সে টাকা দিতে গড়িমসি করে। বিষয়টি মফিকুল তার বন্ধু রবিউল ইসলাম বিপ্লব ও অপর আসামি আলমগীরকে জানায়। সকলেই নিহত আলমগীরের কাছ থেকে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে খুনের পরিকল্পনা করে।

আসামি রবিউল ইসলাম বিপ্লব নিহত আলমগীরকে টাকা ধার দেওয়ার কথা বলে গত বুধবার সন্ধ্যার ডেকে নিয়ে মফিকুলসহ মড়কা বাজারে যায়। সেখানে অবস্থানরত অপর আসামি আলমগীর ও তার একজন সঙ্গী পৃথক মোটরসাইকেলযোগে সহড়াবাড়িয়া ইছাখালী মাঠে যায়। সেখানে মফিকুলের নিকট হতে ধার নেওয়া টাকা ফেরত চাইলে আলমগীরের সাথে কথাকাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে আসামিরা ধারালো অন্ত্র দিয়ে আলমগীরের মাথায় আঘাত করে। এরপর মুখ এবং হাত পা বেধে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে। এরপর আলমগীরের মরদেহটি একটি বাবলা গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পালিয়ে যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী খুনের ঘটনাকে অন্য দিকে প্রবাহিত করার জন্য একটি চিরকুট লিখে আলমগীরের মরদেহের পাশে রেখে আসে তারা। আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, যুবদল নেতা আলমগীর খুনের মামলায় তিন আসামিকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।



কমেন্ট বক্স
notebook

আলমডাঙ্গা ও জীবননগরে গাংনীতে জামায়াতের দায়িত্বশীল সমাবেশ