চলছে মহানামযজ্ঞ : পরিদর্শনে ডিসি-এসপি-মেয়র নিজস্ব প্রতিবেদক: দলমত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষের স্বর্তফূর্ত অংশগ্রহনে উৎসবের আমেজে চলছে ৫ দিনব্যাপী ৭ম বার্ষিকী ২৪ প্রহর ব্যাপী অখন্ড শ্রী শ্রী তারকব্রক্ষ মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান। প্রতিবারের ন্যায় এবারো `দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায়` চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী পান্না (পূর্বের নাম রুপছায়া) সিনেমা হল প্রাঙ্গনে শুরু হওয়া মহানামযজ্ঞের গতকাল বুধবার ছিলো তৃতীয় দিন। চুয়াডাঙ্গার সনাতন সৎ সংঘের পরিবেশনায় রাত ৮টায় আরতী-কীর্তন শুরু হলে যজ্ঞস্থল পরিদর্শনে আসেন চুয়াডাঙ্গার নবাগত জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম, পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। এসময় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পূজারী ভক্ত ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল যজ্ঞস্থল। সকাল থেকে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে পূজারী, ভক্ত ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পান্না (পূর্বের নাম রুপছায়া) সিনেমা হল প্রাঙ্গন। এছাড়া রাত-দিন ২৪ ঘন্টা চলছে একটানা প্রসাদ বিতরণে ব্যস্ত সময় পার করছে সেচ্ছাসেবকরা। সিআইপি ও এনডিসি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, বিশ্ব মানবের কল্যাণার্থে ও সকল প্রকার সাম্প্রদায়িকতার ঊর্দ্ধে অসম্প্রদায়িক দেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিবছর ৫দিন ব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রক্ষ মহানামযজ্ঞানুষ্ঠানের আয়োজন করি। দলমত-ধর্ম নির্বিশেষে সকল স্তরের মানুষ এই যজ্ঞে আসছেন। তারই প্রমাণ অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিনে ভক্ত পূজারী ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়। আর এটাও প্রমাণ করে এদশে ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। তিনি আরো বলেন, আমি চুয়াডাঙ্গার সন্তান তাই সারাজীবন চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নে কাজ করে যাবো। সবশেষে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলাসহ জেলাবাসীর যে কোন উন্নয়নমূলক কাজে সর্বদা জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। চুয়াডাঙ্গার আগরওয়ালা পরিবারগুলোর পক্ষে মহানামযজ্ঞানুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করছেন পিন্টু কুমার আগরওয়ালা ও পবিত্র কুমার আগরওয়ালা। এই মহানামযজ্ঞে সিআইপি দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সহধর্মিনী সবিতা আগরওয়ালা, বাবা ওম প্রকাশ আগরওয়ালা, মা তারা দেবী, ছোট ভাই পিন্টু আগরওয়ালা ও তার স্ত্রী রেশমী আগরওয়ালাসহ পুরো পরিবারের সদস্যরা নিজেদেরসহ সকলের মঙ্গল কামনার প্রার্থনা করছেন। তারাদেবী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইউনিয়ন গ্রুপের পরিচালক, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক, চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান সিআইপি ও এনডিসি বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও তার পরিবারবর্গ প্রতিবছর এই মহানামযজ্ঞের আয়োজন করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাত ১১টায় মঙ্গলঘট স্থাপন ও সংকল্পযাত্রা করে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ঘটে জল নিয়ে শুভ অধিবাসের মধ্যদিয়ে এই যজ্ঞ শুরু হয়। স্বর্গীয় দোয়ারকা দাস আগরওয়ালা ও স্বর্গীয় পান্না দেবী স্মরণে শুরু হওয়া মহানামযজ্ঞ চলবে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। শেষদিনে ভোগ আরতি ও প্রসাদ বিতরণের মধ্যদিয়ে শেষ হবে তারকব্রক্ষ মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান। উল্লেখ্য, ২৪ প্রহরব্যাপী অখন্ড শ্রী শ্রী তারকব্রক্ষ মহানামযজ্ঞানুষ্ঠানটি সফল করতে ও যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও সিআইপি দিলীপ কুমার আগরওয়ালার স্পেশাল ফোর্স যজ্ঞস্থলে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে যাচ্ছে। এছাড়া সকল ভক্তবৃন্দ যেন সুষ্ঠুভাবে প্রসাদ গ্রহণ করতে পারে, সেইজন্য সকল স্বেচ্ছাসেবকদেরকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে সচেতন করে দেয়া হয়েছে।