ইপেপার । আজসোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন

ফের চেয়ারম্যান হলেন আলি মুনছুর বাবু ও হাফিজ

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

ফের দামুড়হুদা উপজেলায় আলি মুনছুর বাবু এবং জীবননগরে মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের আপন ভাই ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৯ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এস এ এম জাকারিয়া আলম ১৩ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়েছেন। আর ঘোড়া প্রতীক নিয়ে অ্যাড. আবু তালেব পেয়েছেন ২ হাজার ৫৯০ ভোট। এদিকে, জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ ৯ হাজার ৪৩৬ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৩ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস কে লিটন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬১৭ ভোট।

আর দামুড়হুদা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন তানিয়া খাতুন। তিনি ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৮৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাহিদা খাতুন ২৯ হাজার ৪৭ ভোট পেয়েছেন। জীবননগর উপজেলায় বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকীকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন রেনুকা আক্তার রিতা। তিনি হাঁস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১০৮ ভোট। আর কলস প্রতীক নিয়ে আয়েশা সুলতানা লাকী পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫৬৬ ভোট।

এদিকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় দামুড়হুদায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শফিউল কবীর ইউসুফ। আর জীবননগরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুস সালাম ঈসা।

      নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দামুড়হুদা উপজেলায় ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮২২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৬৭ হাজার ৯৮৯টি। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৯১৭টি। বৈধ ভোট পড়েছে ৬৬ হাজার ৭২টি। শতকরা হিসেবে ভোট পড়েছে ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।  জীবননগর উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৩৬ জন। ভোট পড়েছে ৫৭ হাজার ৮৯০টি। এর মধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ৫৬ হাজার ৬৭০টি। বাতিল হয়েছে ১ হাজার ২২০টি ভোট। শতকরা হিসেবে ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।

এদিকে, সকাল থেকে কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। একসঙ্গে দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। এসময় তাঁরা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও ভোটারদের সাথে কথা বলেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনরত সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে চুয়াডাঙ্গার জনসাধারণের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনকালে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, ‘ভোটের মাঠে পুলিশ, র‌্যাব, ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সকাল থেকে যৌথ নিরাপত্তায় কাজ করছে। আমরা যতগুলো ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি, ভোটারদের সাথে কথা বলেছি, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্টদের সাথে এবং ভোট কেন্দ্রের বাইরে সকলের সাথে কথা বলেছি। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। চন্ডিপুর ভোট কেন্দ্রে আসতে বাঁধা প্রদান করার অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

একই সময় চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ‘সার্বিকভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। আমরা কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সকাল থেকে ভোটাররা কেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে ভোট দিচ্ছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন

ফের চেয়ারম্যান হলেন আলি মুনছুর বাবু ও হাফিজ

আপলোড টাইম : ০৭:৫৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

ফের দামুড়হুদা উপজেলায় আলি মুনছুর বাবু এবং জীবননগরে মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের আপন ভাই ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৯ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এস এ এম জাকারিয়া আলম ১৩ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়েছেন। আর ঘোড়া প্রতীক নিয়ে অ্যাড. আবু তালেব পেয়েছেন ২ হাজার ৫৯০ ভোট। এদিকে, জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ ৯ হাজার ৪৩৬ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৩ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস কে লিটন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬১৭ ভোট।

আর দামুড়হুদা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন তানিয়া খাতুন। তিনি ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৮৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাহিদা খাতুন ২৯ হাজার ৪৭ ভোট পেয়েছেন। জীবননগর উপজেলায় বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকীকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন রেনুকা আক্তার রিতা। তিনি হাঁস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১০৮ ভোট। আর কলস প্রতীক নিয়ে আয়েশা সুলতানা লাকী পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫৬৬ ভোট।

এদিকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় দামুড়হুদায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শফিউল কবীর ইউসুফ। আর জীবননগরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুস সালাম ঈসা।

      নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দামুড়হুদা উপজেলায় ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮২২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৬৭ হাজার ৯৮৯টি। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৯১৭টি। বৈধ ভোট পড়েছে ৬৬ হাজার ৭২টি। শতকরা হিসেবে ভোট পড়েছে ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।  জীবননগর উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৩৬ জন। ভোট পড়েছে ৫৭ হাজার ৮৯০টি। এর মধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ৫৬ হাজার ৬৭০টি। বাতিল হয়েছে ১ হাজার ২২০টি ভোট। শতকরা হিসেবে ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।

এদিকে, সকাল থেকে কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। একসঙ্গে দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। এসময় তাঁরা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও ভোটারদের সাথে কথা বলেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনরত সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে চুয়াডাঙ্গার জনসাধারণের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনকালে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, ‘ভোটের মাঠে পুলিশ, র‌্যাব, ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সকাল থেকে যৌথ নিরাপত্তায় কাজ করছে। আমরা যতগুলো ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি, ভোটারদের সাথে কথা বলেছি, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্টদের সাথে এবং ভোট কেন্দ্রের বাইরে সকলের সাথে কথা বলেছি। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। চন্ডিপুর ভোট কেন্দ্রে আসতে বাঁধা প্রদান করার অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

একই সময় চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ‘সার্বিকভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। আমরা কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সকাল থেকে ভোটাররা কেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে ভোট দিচ্ছে।’