ইপেপার । আজ রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিরীহ মানুষকে হত্যার দায় বিএনপি-জামায়াতের: কাদের

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
  • / ৪৮ বার পড়া হয়েছে

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় নিরীহ মানুষ হত্যার দায় বিএনপি-জামায়াতের বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পুলিশ ও সাধারণ মানুষ কোনো হত্যায় অংশ নিতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
কতজন মারা গেছে সেই সংখ্যা সরকারের কাছে আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। উত্তরায় জাহাঙ্গীরের (গাজীপুরের সাবেক মেয়র) সঙ্গে থাকে জুয়েল; তাঁকে মেরে লটকে রাখা হয়েছে। কী বর্বরতা! এ ছাড়া আরও হত্যাকাণ্ড হয়েছে। সবগুলোই বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আমরা বরাবরই শিক্ষার্থীদের দাবি সমর্থন করে আসছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেক নিরীহ মানুষ মারা গেছে। জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্যপট দেখছিল। বাচ্চা যখন তাকাল, সেই বাচ্চা গুলি খেয়ে মারা গেল। তারপরে এ ধরনের ঘটনা আরও অনেক ঘটেছে। রাস্তায় বেরিয়েছে নিষ্পাপ শিশু, কিছুক্ষণ পর দেখা গেল সেও লাশ হয়ে পড়ে ছিল। এ রকম ঘটনা অনেক আছে। এগুলো জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। সময়মতো সাংবাদিকেরাও নিচ্ছেন। সব সত্য বেরিয়ে আসবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জামায়াত-শিবিরের হাতে অস্ত্র ছিল। কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে। উদ্ধার হবেই। এদের নির্দেশদাতা ও হোতারা কিন্তু গ্রেপ্তার হয়েছে। রিমান্ডে আছে। অনেক সত্য বেরিয়ে আসবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা তো রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করছি। প্রশাসনিকভাবে মোকাবিলা করছি। আপনাদেরও আমরা সহযোগিতা চাই। এ অপশক্তি সকলেরই শত্রু। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’
কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী দেশবিরোধী ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পুলিশ ও সাধারণ মানুষ কোনো হত্যায় অংশ নিতে পারে না। আমরা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু সমর্থন করি না। প্রতিটি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী এ কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নিরীহ মানুষকে হত্যার দায় বিএনপি-জামায়াতের: কাদের

আপলোড টাইম : ০৪:২৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় নিরীহ মানুষ হত্যার দায় বিএনপি-জামায়াতের বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পুলিশ ও সাধারণ মানুষ কোনো হত্যায় অংশ নিতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
কতজন মারা গেছে সেই সংখ্যা সরকারের কাছে আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। উত্তরায় জাহাঙ্গীরের (গাজীপুরের সাবেক মেয়র) সঙ্গে থাকে জুয়েল; তাঁকে মেরে লটকে রাখা হয়েছে। কী বর্বরতা! এ ছাড়া আরও হত্যাকাণ্ড হয়েছে। সবগুলোই বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আমরা বরাবরই শিক্ষার্থীদের দাবি সমর্থন করে আসছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেক নিরীহ মানুষ মারা গেছে। জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্যপট দেখছিল। বাচ্চা যখন তাকাল, সেই বাচ্চা গুলি খেয়ে মারা গেল। তারপরে এ ধরনের ঘটনা আরও অনেক ঘটেছে। রাস্তায় বেরিয়েছে নিষ্পাপ শিশু, কিছুক্ষণ পর দেখা গেল সেও লাশ হয়ে পড়ে ছিল। এ রকম ঘটনা অনেক আছে। এগুলো জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। সময়মতো সাংবাদিকেরাও নিচ্ছেন। সব সত্য বেরিয়ে আসবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জামায়াত-শিবিরের হাতে অস্ত্র ছিল। কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে। উদ্ধার হবেই। এদের নির্দেশদাতা ও হোতারা কিন্তু গ্রেপ্তার হয়েছে। রিমান্ডে আছে। অনেক সত্য বেরিয়ে আসবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা তো রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করছি। প্রশাসনিকভাবে মোকাবিলা করছি। আপনাদেরও আমরা সহযোগিতা চাই। এ অপশক্তি সকলেরই শত্রু। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’
কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী দেশবিরোধী ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পুলিশ ও সাধারণ মানুষ কোনো হত্যায় অংশ নিতে পারে না। আমরা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু সমর্থন করি না। প্রতিটি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী এ কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন।’