সরকারি লাইসেন্সধারী কাজী ব্যতিত কোনো হুজুর বিয়ে পড়ালে ব্যবস্থা
- আপলোড তারিখঃ ০৯-১২-২০১৯ ইং
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার
বিশেষ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। সভার শুরুতে পূর্ববর্তী সভার কার্যবিবরণী পড়ে শোনান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান। পূর্বের সভার সিদ্ধান্তের কোনো পরিবর্তন বা মতামত না থাকায় তা দৃঢ়ীকরণ করে সভা আরম্ভ করা হয়। জেলার আইনশৃঙ্খলা সার্বিক বিষয়ের ওপর বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান হাফিজ, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু, জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হাজি ইয়াকুব হোসেন মালিক, সহসভাপতি মঞ্জুরুল আলম মালিক লার্জ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মোল্লা আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবুল বাশার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মুহা. শামসুজ্জোহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার নিয়ন্ত্রণে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। এরসঙ্গে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম আরও বেগবান করা হবে। এতে জনগণের মধ্যে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।’
মাথাভাঙ্গা ব্রিজ দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে সড়ক বিভাগকে। সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আদম আলীর এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উঠে আসে মাথাভাঙ্গা ব্রিজ নিয়ে দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘যারা পেশিশক্তি খাটিয়ে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অর্থের বিনিময়ে মাথাভাঙ্গা ব্রিজের ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে সহযোগিতা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’ এ ব্যাপারে সড়ক বিভাগকে মামলা করার আহ্বান জানিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার।
বাল্যবিবাহ বন্ধে জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি, চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ফোন নম্বর সম্বলিত সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হবে। যেন বাল্যবিবাহ দেওয়ার প্রস্তুতি কিংবা আয়োজন হলে তাৎক্ষণিক খবর দিতে পারে যে কেউ। সরকারি লাইসেন্সধারী কাজী ব্যতিত কোনো এলাকার ইমাম, মুয়াজ্জিন বা হুজুর বিয়ে পড়ালে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ প্রসঙ্গে জেলা কাজী সমিতির সভাপতি শামসুল হক বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় ৫৬ জন সরকারি লাইসেন্সধারী কাজী আছে। এর বাইরে বিভিন্ন এলাকার ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা বিয়ে পড়ান। সাদা কাগজে বর-কনের নাম ঠিকানা লিখে নিয়ে পরে একজন কাজীর কাছ থেকে রেজিস্ট্রি করিয়ে নেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। বিশেষ করে কাজীদের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে।’ এ ছাড়া সভায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির অন্য সদস্যরা তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেন।
কমেন্ট বক্স