ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় কৃষি কর্মকর্তা কর্তৃক দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত!

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সমতল ভূমিতে আনারস চাষ করেছেন গাংনী ইউনিয়নের বড় গাংনী গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক। এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে আনারস বাগানে প্রবেশ করায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামিদুল ইসলাম কর্তৃক দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বড় গাংনী গ্রামে আব্দুর রাজ্জাকের আনারস বাগানে ওই দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়। লাঞ্ছিত সংবাদকর্মীরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন হোসেন ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার গাংনী ইউনিয়ন প্রতিনিধি চঞ্চল হোসেন। এদিকে, এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর লাঞ্ছিতের শিকার সংবাদকর্মী আল আমিন হোসেন একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, গত ৫ই মে উপজেলা কৃষি মেলায় প্রদর্শনী স্টলে আনারস দেখে কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করে প্রতিবেদনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক আল-আমিন হোসেন ও চঞ্চল হোসেন। এসময় আনারস বাগানে পৌঁছালে ওই এলাকায় কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামিদুল ইসলাম তাদের সঙ্গে অশালীন ভাষা ব্যবহার ও বাজে আচরণ শুরু করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিকের কাজে বাধা সৃষ্টি করে এবং তার অনুমিতবিহীন নিউজ করতে আসায় সংশ্লিষ্ট কৃষকের সামনে তাদের অপদস্থ করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, এ ঘটনার নেপথ্যেই রয়েছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য। বড়গাংনী গ্রামের বিল্লাল হোসেন এবং রিপন হোসেন নামের দুই কৃষক বলেন, ‘আমাদের গ্রামে গুটিকয়েক কৃষকের সাথে এখানে কর্মরত মাঠকর্মীর সম্পর্ক রয়েছে। মাঠকর্মী উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামিদুল ইসলামের নিকট থেকে সাধারণ কৃষকেরা কোনো পরামর্শ বা সহযোগিতা পায় না।’

এ বিষয়ে লাঞ্ছিতের শিকার সাংবাদিক আল-আমিন হোসেন বলেন, সাংবাদিক হলো সমাজের দর্পণ। একটা সমাজের চিত্র ফুটে ওঠে সাংবাদিকের লেখনীর মাধ্যমে। অনেক সময় মাঠ কর্মীদের নিকট থেকে কৃষকরা ঠিকমত সহযোগিতা পায় না এবং তাদের উপস্থিততে কোনো কথা বলতে কৃষক রাজি হয় না। তাই অনেক সময় তাদের অনুপস্থিতিতে কিছু তথ্য নেওয়া লাগে। আর এই তথ্য নিতে গিয়েই বাধে বিপত্তি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এরিয়ায় নিউজ করতে হলে আমার অনুমতি লাগবে।’ এ বিষয়ে জানতে আলমডাঙ্গা কৃষি কর্মকর্তা রেহেনা পারভীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংবাদ সংগ্রহ বা প্রকাশ করতে মাঠকর্মীর অনুমতি নিতে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। দুজন সাংবাদিককে যেহেতু লাঞ্ছিত করেছে, লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় তিনি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামিদুল ইসলামের পক্ষেও বিভিন্ন মন্তব্য করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গায় কৃষি কর্মকর্তা কর্তৃক দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত!

আপলোড টাইম : ০৮:৪৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সমতল ভূমিতে আনারস চাষ করেছেন গাংনী ইউনিয়নের বড় গাংনী গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক। এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে আনারস বাগানে প্রবেশ করায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামিদুল ইসলাম কর্তৃক দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বড় গাংনী গ্রামে আব্দুর রাজ্জাকের আনারস বাগানে ওই দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়। লাঞ্ছিত সংবাদকর্মীরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন হোসেন ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার গাংনী ইউনিয়ন প্রতিনিধি চঞ্চল হোসেন। এদিকে, এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর লাঞ্ছিতের শিকার সংবাদকর্মী আল আমিন হোসেন একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, গত ৫ই মে উপজেলা কৃষি মেলায় প্রদর্শনী স্টলে আনারস দেখে কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করে প্রতিবেদনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক আল-আমিন হোসেন ও চঞ্চল হোসেন। এসময় আনারস বাগানে পৌঁছালে ওই এলাকায় কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামিদুল ইসলাম তাদের সঙ্গে অশালীন ভাষা ব্যবহার ও বাজে আচরণ শুরু করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিকের কাজে বাধা সৃষ্টি করে এবং তার অনুমিতবিহীন নিউজ করতে আসায় সংশ্লিষ্ট কৃষকের সামনে তাদের অপদস্থ করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, এ ঘটনার নেপথ্যেই রয়েছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য। বড়গাংনী গ্রামের বিল্লাল হোসেন এবং রিপন হোসেন নামের দুই কৃষক বলেন, ‘আমাদের গ্রামে গুটিকয়েক কৃষকের সাথে এখানে কর্মরত মাঠকর্মীর সম্পর্ক রয়েছে। মাঠকর্মী উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামিদুল ইসলামের নিকট থেকে সাধারণ কৃষকেরা কোনো পরামর্শ বা সহযোগিতা পায় না।’

এ বিষয়ে লাঞ্ছিতের শিকার সাংবাদিক আল-আমিন হোসেন বলেন, সাংবাদিক হলো সমাজের দর্পণ। একটা সমাজের চিত্র ফুটে ওঠে সাংবাদিকের লেখনীর মাধ্যমে। অনেক সময় মাঠ কর্মীদের নিকট থেকে কৃষকরা ঠিকমত সহযোগিতা পায় না এবং তাদের উপস্থিততে কোনো কথা বলতে কৃষক রাজি হয় না। তাই অনেক সময় তাদের অনুপস্থিতিতে কিছু তথ্য নেওয়া লাগে। আর এই তথ্য নিতে গিয়েই বাধে বিপত্তি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এরিয়ায় নিউজ করতে হলে আমার অনুমতি লাগবে।’ এ বিষয়ে জানতে আলমডাঙ্গা কৃষি কর্মকর্তা রেহেনা পারভীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংবাদ সংগ্রহ বা প্রকাশ করতে মাঠকর্মীর অনুমতি নিতে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। দুজন সাংবাদিককে যেহেতু লাঞ্ছিত করেছে, লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় তিনি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামিদুল ইসলামের পক্ষেও বিভিন্ন মন্তব্য করেন।