ইপেপার । আজসোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ হলো মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর পরিষদের নির্বাচন

চেয়ারে বসছেন আনারুল ও মিলু

প্রতিবেদক, মুজিবনগর:
  • আপলোড টাইম : ০৭:৩৯:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে


কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়ায় মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট প্রদানের পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা চোখে পড়ে। তবে বেশিরভাগ ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা। মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে আনারুল ইসলাম ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে আমাম হোসেন মিলু বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাতে দুই উপজেলা পরিষদের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে।
মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থীর মধ্যে আনারুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪০ হাজার ৯২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম ইব্রাহিম শাহীন কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৫০৭ ভোট, অপর প্রার্থী হাশেম আলী আনারস প্রতীকে ২ হাজার ৮৭৭ ভোট এবং আব্দুল মান্নান ঘোড়া প্রতীকে ৩৭২ ভোট পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে ৩৬ হাজার ৩১৮ ভোট পেয়ে পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন হাশেম আলী। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শাহীন- টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৯৭৮ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লতিফুন নেছা লতা পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন। বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামিউন বাসিরা পলি- হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬৩৪ ভোট। এ পদে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া বিএনপি নেত্রী রোমানা আহম্মেদের কলস প্রতীকে পড়েছে ৮৬৯ ভোট। ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত মেহেরপুর সদর উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ১৮ হাজার ৮০৪ জন। সর্বমোট ৫৬ হাজার ৬৫৮টি ভোট পোল হয়েছে। ভোট প্রদানের শতকরা হার ২৫.৮৯ ভাগ।
এদিকে, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তিনটি পদেই নতুন মুখ বিজয়ী হয়েছে। চেয়ারম্যান পাদে আমাম হোসেন মিলু- আনারস প্রতীকে ১৬ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম তোতা-কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ১০০ ভোট। অপর প্রার্থী কামরুল হাসান চাঁদু- ঘোড়া প্রতীকে ২ হাজার ৮২১ ভোট এবং মাহবুব রহমান- মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪১ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখ বি.এম জাহিদ হাসান- টিউবওয়েল প্রতীকে ২০ হাজার ৬৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মতিউর রহমান- চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৬৭৬ ভোট। এদিকে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী তকলীমা। কলস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৫৮ ভোট এবং বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন ফুটবল প্রতীকে ১৪ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়েছেন।
৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৩৫টি ভোট কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ৩৪৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার ৮৫ হাজার ২৫৯ জন। প্রদত্ত ভোটের শতকরা ভার ৪২.৬৩%।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শেষ হলো মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর পরিষদের নির্বাচন

চেয়ারে বসছেন আনারুল ও মিলু

আপলোড টাইম : ০৭:৩৯:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪


কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়ায় মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট প্রদানের পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা চোখে পড়ে। তবে বেশিরভাগ ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা। মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে আনারুল ইসলাম ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে আমাম হোসেন মিলু বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাতে দুই উপজেলা পরিষদের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে।
মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থীর মধ্যে আনারুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪০ হাজার ৯২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম ইব্রাহিম শাহীন কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৫০৭ ভোট, অপর প্রার্থী হাশেম আলী আনারস প্রতীকে ২ হাজার ৮৭৭ ভোট এবং আব্দুল মান্নান ঘোড়া প্রতীকে ৩৭২ ভোট পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে ৩৬ হাজার ৩১৮ ভোট পেয়ে পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন হাশেম আলী। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শাহীন- টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৯৭৮ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লতিফুন নেছা লতা পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন। বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামিউন বাসিরা পলি- হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬৩৪ ভোট। এ পদে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া বিএনপি নেত্রী রোমানা আহম্মেদের কলস প্রতীকে পড়েছে ৮৬৯ ভোট। ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত মেহেরপুর সদর উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ১৮ হাজার ৮০৪ জন। সর্বমোট ৫৬ হাজার ৬৫৮টি ভোট পোল হয়েছে। ভোট প্রদানের শতকরা হার ২৫.৮৯ ভাগ।
এদিকে, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তিনটি পদেই নতুন মুখ বিজয়ী হয়েছে। চেয়ারম্যান পাদে আমাম হোসেন মিলু- আনারস প্রতীকে ১৬ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম তোতা-কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ১০০ ভোট। অপর প্রার্থী কামরুল হাসান চাঁদু- ঘোড়া প্রতীকে ২ হাজার ৮২১ ভোট এবং মাহবুব রহমান- মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪১ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখ বি.এম জাহিদ হাসান- টিউবওয়েল প্রতীকে ২০ হাজার ৬৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মতিউর রহমান- চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৬৭৬ ভোট। এদিকে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী তকলীমা। কলস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৫৮ ভোট এবং বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন ফুটবল প্রতীকে ১৪ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়েছেন।
৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৩৫টি ভোট কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ৩৪৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার ৮৫ হাজার ২৫৯ জন। প্রদত্ত ভোটের শতকরা ভার ৪২.৬৩%।