ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুদের ভয় কাটাতে তৈরি হল ‘টেডি বিয়ার হাসপাতাল’

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৩৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৯ বার পড়া হয়েছে

বিস্ময় প্রতিবেদন:

শিশুদের ভীষণ পছন্দের পুতুল হল টেডি বিয়ার।আর তাই টেডি বিয়ারের চিকিৎসার জন্য তৈরি হল ‘টেডি বিয়ারস হাসপাতাল’ নামে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে একটি ব্যতিক্রমী চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে শিশুরা তাদের খেলার পুতুল নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।  মূলত হাসপাতাল সম্পর্কে শিশুদের ভয় দূর করতেই এই অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই হাসপাতালে ৪ থেকে ৭ বছর বয়সী শিশুরা তাদের টেডির চিকিৎসা করতে আসে। শিশুদের উপস্থিতিতে টেডি বিয়ারকে ইনজেকশন, অপারেশন, এক্স-রে সহ সব ধরনের চিকিৎসা করা হয়। এই চিকিৎসা কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবকরা জানাচ্ছেন, এটি চিকিৎসকদের প্রতি শিশুদের ভয় কমাতে সাহায্য করে এবং ভবিষ্যতে চিকিৎসায় তাদের আরও সহযোগিতামূলক করে তোলে। হাসপাতালের এক নার্সের দাবি, টেডি বিয়ার ক্লিনিকে এসে শিশুরা বুঝতে পারবে হাসপাতালে কীভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের ভয় কাটে যায়। পরে চিকিৎসকের কাছে গেলে তারা সহযোগিতামূলক আচরণ করবে, কান্নাকাটি করবে না। টেডি বিয়ার ক্লিনিকের এই ধারণাটি প্রথম চালু হয়েছিল জার্মানিতে। পরবর্তীতে ২০১২ থেকে বেলজিয়ামের বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজ আকর্ষণীয় ও বৈচিত্র্যময় প্রোগ্রাম শুরু করে। এই ধরনের কর্মসূচিতে চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও নার্স স্বেচ্ছাসেবকরা যৌথভাবে অংশগ্রহণ করেন। চিকিৎসার পাশাপাশি তারা গান ও নাচের মাধ্যমে শিশুদের বিনোদনের দেখভাল করেন। সূত্র- দ্যা বুলেটিন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শিশুদের ভয় কাটাতে তৈরি হল ‘টেডি বিয়ার হাসপাতাল’

আপলোড টাইম : ০৪:৩৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

বিস্ময় প্রতিবেদন:

শিশুদের ভীষণ পছন্দের পুতুল হল টেডি বিয়ার।আর তাই টেডি বিয়ারের চিকিৎসার জন্য তৈরি হল ‘টেডি বিয়ারস হাসপাতাল’ নামে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে একটি ব্যতিক্রমী চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে শিশুরা তাদের খেলার পুতুল নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।  মূলত হাসপাতাল সম্পর্কে শিশুদের ভয় দূর করতেই এই অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই হাসপাতালে ৪ থেকে ৭ বছর বয়সী শিশুরা তাদের টেডির চিকিৎসা করতে আসে। শিশুদের উপস্থিতিতে টেডি বিয়ারকে ইনজেকশন, অপারেশন, এক্স-রে সহ সব ধরনের চিকিৎসা করা হয়। এই চিকিৎসা কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবকরা জানাচ্ছেন, এটি চিকিৎসকদের প্রতি শিশুদের ভয় কমাতে সাহায্য করে এবং ভবিষ্যতে চিকিৎসায় তাদের আরও সহযোগিতামূলক করে তোলে। হাসপাতালের এক নার্সের দাবি, টেডি বিয়ার ক্লিনিকে এসে শিশুরা বুঝতে পারবে হাসপাতালে কীভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের ভয় কাটে যায়। পরে চিকিৎসকের কাছে গেলে তারা সহযোগিতামূলক আচরণ করবে, কান্নাকাটি করবে না। টেডি বিয়ার ক্লিনিকের এই ধারণাটি প্রথম চালু হয়েছিল জার্মানিতে। পরবর্তীতে ২০১২ থেকে বেলজিয়ামের বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজ আকর্ষণীয় ও বৈচিত্র্যময় প্রোগ্রাম শুরু করে। এই ধরনের কর্মসূচিতে চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও নার্স স্বেচ্ছাসেবকরা যৌথভাবে অংশগ্রহণ করেন। চিকিৎসার পাশাপাশি তারা গান ও নাচের মাধ্যমে শিশুদের বিনোদনের দেখভাল করেন। সূত্র- দ্যা বুলেটিন।