এ বছর সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন হাঙ্গেরিয়ান লেখক লাসলো ক্রাসনাহোরকাই। দূরদর্শী সাহিত্যকর্মের জন্য তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করেছে নোবেল কমিটি। বলা হচ্ছে, তার সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে মহাপ্রলয়ঙ্করী ভয়ের মধ্যেও শিল্পের শক্তিকে পুনরায় দৃঢ়তা পায়। মহান এই সাহিত্যিকের জন্ম ১৯৫৪ সালে। দক্ষিণ-পূর্ব হাঙ্গেরির ছোট শহর জিউলাতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার প্রথম উপন্যাস সাতানটাঙ্গো ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি প্রত্যন্ত একটি গ্রামীণ অঞ্চল নিয়ে লিখেছেন ক্রাসনাহোরকাই। এই উপন্যাসে হাঙ্গেরির গ্রামীণ এক পরিত্যক্ত সমবায় খামারে বাস করা একদল দরিদ্র মানুষের কথা বলা হয়েছে। সমাজতন্ত্রের পতনের ঠিক আগমুহূর্তে যারা অনিশ্চয়তা ও নিরাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। প্রথম উপন্যাসের মাধ্যমেই লেখক জগতে নিজের নাম পাকাপোক্ত করে নিয়েছিলেন নোবেল পাওয়া এই লেখক। তার দ্বিতীয় উপন্যাস দ্য মেলানকোলি অব রেজিসট্যান্স ১৯৮৯ সালে প্রকাশ করা হয়। লাসলো ক্রাসনাহোরকাই মধ্য ইউরোপীয় ঐতিহ্যের একজন মহাকাব্যিক লেখক। এই ধারার সবচেয়ে আলোচিত লেখক হলেন ফ্রান্ৎস কাফকা। ক্রাসনাহোরকাই তার লেখায় উদ্ভট ধরণ উপস্থাপনে নিজেস্ব শৈল্পিক ঢং ব্যবহার করেছেন। নোবেল কমিটি এই লেখককে চিন্তাশীল বলে আখ্যায়িত করেছে।
সমীকরণ প্রতিবেদন