বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

করোনার টিকা গ্রহণে অনীহা ; দ্রুত শেষ হচ্ছে মেয়াদ

  • আপলোড তারিখঃ ২৫-০৬-২০২৫ ইং
করোনার টিকা গ্রহণে অনীহা ; দ্রুত শেষ হচ্ছে মেয়াদ

দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি আবারও জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। গত আড়াই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার প্রতি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। গণপরিবহন, অফিস-আদালতে স্বাস্থ্যবিধি মানার অনীহা স্পষ্ট। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও জনসচেতনতার অভাবে তা তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। এর মধ্যেই টিকা গ্রহণে জনগণের অনীহা সরকার ও দেশের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবহেলা কেবল সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে না, বরং সরকারের মজুতকৃত লাখ লাখ ডোজ টিকা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি করছে।


এই অনীহার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। এক, দীর্ঘ সময় সংক্রমণের নিম্নহার জনমনে 'করোনাভীতি' হ্রাস করেছে। দুই, সীমিত সংখ্যক টিকাদান কেন্দ্র টিকা গ্রহণকে সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন করে তুলেছে। তিন, ‘সুরক্ষা’ অ্যাপের অকার্যকারিতা তথ্য সংগ্রহ ও উৎসাহ প্রদানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। চার, টিকার কার‌্যকারিতা বা মেয়াদ নিয়ে কিছু মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে, যদিও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তা নিশ্চিত করেছেন।


টিকা না নেওয়ার সবচেয়ে বড় পরিণতি হলো সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বৃদ্ধি। গত সেমাবার ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের, শনাক্তের হার ৫.৮০ শতাংশ। প্রাথমিকভাবে এই হারও উদ্বেগজনক। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে। বর্তমানে দেশের মজুতে প্রায় ৩২ লাখ ডোজ টিকা রয়েছে, যার মধ্যে ১৭ লাখ ফাইজার টিকা, যার মেয়াদ দ্রুত শেষ হচ্ছে। টিকাদানে ধীরগতি গোটা জনগোষ্ঠীর রোগপ্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল করে তুলতে পারে এবং নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে সহায়ক হতে পারে।


এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। এক, গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে টিকা সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা জোরদার করতে হবে। দুই, টিকাদান কেন্দ্র বাড়িয়ে সেগুলো সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে; প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ টিকাদান কার‌্যক্রম চালু করা যেতে পারে। তিন, ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর জন্য বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি নিতে হবে। চার, ‘সুরক্ষা’ অ্যাপটি সচল করে সহজ টিকা প্রাপ্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। সর্বাগ্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে, কারণ তারাই করোনা মোকাবিলার সম্মুখযোদ্ধা। করোনা একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার ও জনগণের সম্মিলিত সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতাই হতে পারে একমাত্র পথ। 




কমেন্ট বক্স
notebook

নৈশপ্রহরী না থাকায় নিরাপত্তাহীন দত্তনগর হাইস্কুল