চুয়াডাঙ্গার কৃষ্ণপুর বোয়ালমারী গ্রামের মানুষ আওয়ামী লীগ নেতা ইমান আলী ও তার পরিবারের মিথ্যা মামলার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক মামলা দিয়ে গ্রামবাসীকে হয়রানি করে আসছেন ইমান আলী। এখন পর্যন্ত তিনি ৫০টির বেশি মিথ্যা মামলা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে করে অন্তত ২০টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানায়, গ্রামের উসমান আলীর বড় ছেলে ইমান আলী ও তার জামাই আসাদ ওরফে রুবেল বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ও জমি নিয়ে বিরোধের জেরে লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করে চলেছেন। নিজের ছোট ভাই বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা করেছেন তিনি।
বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমি আমার অংশের জমি বিক্রি করেছিলাম। এরপর ভাই ইমান আলী ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে আমাকে মারধর করে গ্রামছাড়া করে। পরে আমার নামেই ৪টি মিথ্যা মামলা দেয়।’ একই গ্রামের প্রবাসফেরত দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইমান আলী একসময় আমার কাছে চাঁদা চেয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় আমার নামে সাতটি মামলা দেয়। এতে আমি সব হারিয়েছি।’ ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি খোরশেদ আলী বলেন, ‘একবার সালিশে ইমান আলীর বিরুদ্ধে রায় গেলে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তিনটি মামলা করে।’
ইমান আলীর জামাই আসাদও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও মামলা দেওয়ার হুমকিরও অভিযোগ রয়েছে। নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরজ আলী বলেন, ‘সালিশে অংশ নেওয়ার কারণে আমাদের নিয়েও ফেসবুকে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’ এখন গ্রামবাসী একজোট হয়ে ইমান আলী ও তার জামাই রুবেলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।